ধর্ম ডেস্ক : জান্নাত অনন্ত সুখ-শান্তির আধার। মুমিনের আসল ঠিকানাই হলো জান্নাত। মহান আল্লাহ তাআলা জান্নাতে যাওয়ার পথ ও প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ বান্দাদের জান্নাতের পথে ডেকেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ২৫)
কিছু কাজ আছে, যা মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়। মানুষকে জান্নাতে পৌঁছাতে সাহায্য করে। আবার এমন কিছু কাজ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোনো কাজ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহভীতি (তাকওয়া) এবং উত্তম চরিত্র।’ আবার জানতে চাওয়া হয়, কোনো কাজ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘মুখ এবং লজ্জাস্থান।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর-২০০৪)
বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) জান্নাতে যাওয়ার মৌলিক দুইটি কাজের কথা উল্লেখ করেছেন, যা অধিক পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এ কাজ দুইটির নিম্নে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো-
আল্লাহভীতি: সব ভালো কাজের উৎস এবং পুণ্য কাজের পথের দিশারি হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাকওয়া হচ্ছে ভালো কাজের মাধ্যমে আজাব থেকে বেঁচে থাকা। সব উম্মতকে তাকওয়া অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি নিশ্চয়ই নির্দেশ দিয়েছিলাম তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের এবং তোমাদেরও; যেন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত ১৩১)
উত্তম চরিত্র: অধিক পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নেয়া কাজের মধ্যে মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো উত্তম চরিত্র। রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। কোরআনে কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা কালাম, আয়াত ৪)
মহৎ বা উত্তম চরিত্রের অর্থ নির্ধারণে কয়েকটি অভিমত আছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহৎ চরিত্রের অর্থ হলো মহৎ দ্বিন। কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে ইসলামের চেয়ে বেশি প্রিয় কোনো দ্বিন নেই। পবিত্র কোরআন যেসব উত্তম কর্ম ও চরিত্র শিক্ষা দেয়, তাই মহৎ চরিত্র। সুবিচার বা ইনসাফ, ক্ষমাশীলতা, নবীপ্রেম- এগুলো হলো উত্তম চরিত্রের কিছু দিক বা শাখা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।