জুমবাংলা ডেস্ক : কিছুদিন আগে প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জ থেকে মংলায় গিয়েছিলেন এক তরুণী। চলতি মাসে গোপালগঞ্জের বড়দিয়ার মোহাম্মদ রবি শেখের মেয়ে সুবর্ণা তন্বী নামে এক তরুণীর প্রেমের টানে মংলায় আসেন। তার দাবি তন্বীকে ভালোবেসে ধর্মগ্রন্থকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছেন তিনি।
এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবার একই ঘটনা ঘটেছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন দুই যুবতী। তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
যুবতীদের মধ্যে একজনের বাড়ি টাঙ্গাইল এবং অন্যজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তাঁদের পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। তারপরে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হত তাদের। তারা দুজনই ছাত্রী।
তারা জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে। সেই থেকে তাদের বন্ধুত্ব। ক্রমে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। এই প্রেমের টানেই টাঙ্গাইলের ওই মহিলা গিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জে।
গত বছর অগাস্টে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের ওই বাসিন্দা। তারা জানিয়েছে, এর ফলে তাদের বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক গাঢ় হয়। দুজন দুজনের বাড়িতে বেশ কয়েকবার যাতায়াত করেছে। পরে তারা বিয়েও করেছে।
পুলিশকে ওই দুজন জানিয়েছেন যে গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করেন তারা। ওই দুজনের দাবি, তাঁরা ভিডিয়ো কল করে বিয়ে করেছেন। জবানবন্দীতে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরে তারা ভিডিও কলে বিয়ে করেছেন। একজন বর এবং একজন বউ সেজে এই বিয়ে হয়। তারপরে বিষয়টি তারা বাবা-মাদের জানান। তবে কেউ তা মেনে না নিয়ে তাদের শাসন করেন।
কিন্তু তারা অভিভাবকদের জানিয়ে দেন যে একজনকে ছাড়া আরেকজন বাঁচবে না। তাদের দাবি, এই নিয়ে অভিভাবকরা তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করেন। তারপরে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দুজন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১৮ তারিখ তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে গোপালপুর পৌর শহরের হাসপাতাল রোড়ে মৎস্য দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারি আব্দুল বারীর ফ্লাটে আশ্রয় নেয়। পরদিন স্টেডিয়াম পাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে নিজদের গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে পরিচয় দেন। কিন্তু সব সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে থাকায় এবং তাদের রহস্যজনক আচরণ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
চাপের মুখে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বিয়ের কথা জানান তারা। পরে পুলিশ সেখানে এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল হক তৈয়ব জানান, তাদের নিজেদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু অভিভাবকদের কাছে তারা যেতে না চাওয়ায় জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা হাজতে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।