চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক মো. সোলাইমান বলেন, দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বরিশাল-ভোলা থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ ও ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ নামের দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকার মিটফোর্ড, পঙ্গু হাসপাতাল ও বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে আজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে নিজাম শিপিং লাইন্সের ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছালে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে লঞ্চটি জব্দ ও চার কর্মীকে আটক করে।
আটকৃত চারজন লঞ্চ কর্মী হলেন, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়য়ারচর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মাঝির ছেলে মো. মিন্টু (২৮), একই উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার ছামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মহিন হাওলাদার (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাহের গজালিয়া এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মো. সোহেল (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রুপসী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪০)।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর এর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যায়। তবে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



