আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাঝআকাশে টানটান উত্তেজনা। একে ওপরের বিমান বদলের চেষ্টা করলেন দুই ‘পাইলট’। সীমাহীন স্টান্টবাজির এই ভিডিও ধরা রইল ক্যামেরায়। শেষপর্যন্ত কী হল জানেন ?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ১০ বছরে ধরে এই স্টান্টের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন স্কাই়ডাইভার লিউক একিনস ও অ্যান্ডি ফ্যারিংটন। একেবারে পদার্থবিজ্ঞানের উল্টো পথে হেঁটে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। অবশেষে এল সেই দিন। গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ মাঝআকাশে বিমান বদলের সিদ্ধান্ত নিলেন দুই স্কাই ডাইভার। ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় বিমান নিয়ে গিয়ে শুরু হল স্টান্টবাজি। একে ওপরের বিমান বদল করতে ঝাঁপ দিলেন লিউক ও অ্যান্ডি। যদিও সাফল্য এল কেবল লিউকের ঝুলিতে। দ্রুত গতিতে নিচে নামতে থাকা অ্যান্ডির বিমানে উঠে পড়লেন তিনি। তবে ব্যালেন্স ঠিক রাখতে না পারায় খালি হাতে ফিরতে হলে অ্যান্ডি ফ্যারিংটনকে। সেই টানটান উত্তেজনার ছবি ধরা রইল ক্যামেরায়। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
সম্প্রতি আমেরিকায় ওটিটি প্লাটফর্ম হুলুতে দেখা গিয়েছে এই স্টান্টের লাইভ স্ট্রিম। যা দেখে হতবাক হয়েছে গোটা বিশ্ব। আসলে সম্পর্কে আত্মীয় হন লিউক আর অ্যান্ডি। বহুদিন ধরেই স্কাইডাইভিংয়ের নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করছিলেন দু’জন। সেই ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঝআকাশে বিমান বদলের চিন্তাটা মাথায় আসে লিউকের। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। এরিজনায় সিঙ্গল সিটের বিমান ‘সেসনা ১৮২’ নিয়ে আকাশে উড়ান ভরেন দুই ভাই। বহু বছরের প্রস্তুতিকে বাস্তব রূপ দিতে চেষ্টা করেন তাঁরা।
কে এই লিউক একিনস ?
তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও বিশ্বকে তাঁর স্টান্ট দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন লিউক। ২০১৬ সালে প্যারাস্যুট ছাড়াই লাইভ স্কাইডাইভ করেন লিউক। ইতিমধ্যেই ২১,০০০ বার স্কাইডাইভের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই যুবকের। লিউকের পারিবারিক ইতিহাস বলছে, ছোট থেকেই পাইলট ছাড়াও স্কাইডাইভারের পরিবারের বেড়ে ওঠেন এই লিউক। বলতে গেলে স্কাইডাইভিং রক্তে রয়েছে তাঁর। ১৯৬০ সালে স্কাইডাইভিং সেন্টার খোলেন লিউকের দাদু। সেখানেই একটি প্রাইভেট এয়ারপোর্টে বেড়ে ওঠে লিউক। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই স্কাইডাইভিং করে লাইসেন্স পেয়ে যান তিনি।
টুইটার কেনার টাকায় রিয়াল-বার্সাসহ বিশ্বের ১৫টি দামি ফুটবল ক্লাব কিনতে পারতেন ইলন মাস্ক
এই অসাধারণ স্টান্টের পর লিউকের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছিল বিশ্ববাসী। মাঝআকাশে বিমান বদল নিয়ে লিউক বলেন, “বিমান বদলের মতো স্টান্টকে পেশাদার হিসাবে আমার কাজের অগ্রগতি হিসাবেই দেখছি। একজন পাইলট ও স্কাইডাইভার হিসাবে নতুন কিছু উদ্ভাবন সবসময় আমাকে নাড়া দেয়। বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করাই আমার লক্ষ্য।”
View this post on Instagram
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।