স্পোর্টস ডেস্ক : ধোনি অধিনায়ক থাকাকালীন সাফল্যের শিখরে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট। তার নেপথ্যে কি ছিল ধোনির মস্তিষ্কই? অধিনায়ক থাকাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির দিকে বরাবরই কড়া নজর ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির।
২০০৭ থেকে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। পরের কয়েক বছরে অনেক নতুন জিনিস দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেটে, যার নেপথ্যে ছিল ধোনির মস্তিষ্ক। সে কারণেই ভারত সব বিভাগে বিশ্বের এক নম্বর দল হয়ে উঠেছিল।
ধোনির সে রকম একটি অবদানের কথা প্রকাশ্যে আনলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর। ২০১৪ সালে ধোনি অধিনায়ক থাকাকালীনই দলে যোগ দেন তিনি। শ্রীধর জানিয়েছেন, দু’টি বিষয়ে একেবারেই আপস করবেন না বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন ধোনি। একটি হল ফিল্ডিং। অপরটি রান নেওয়ার সময় দৌড়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীধর বলেছেন, “অধিনায়ক থাকার সময় ধোনি নিজেই ফিল্ডিং দলের নেতা ছিল। রান নেওয়ার সময় দৌড়নোর ব্যাপারটাকে ও শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। আগেই আমাকে বলেছিল দুটো বিষয়ে আপস করবে না। ফিল্ডিং এবং রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটস। ভেবে দেখুন, এখনও ওর এই ভাবনা কাজে লাগছে।”
শ্রীধরের সংযোজন, “ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে ও যা জোর দিত, তা আগে কারওর মধ্যে দেখিনি। বিরাট কোহলী সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রী বরাবর বলতেন, ১১ জন সেরা ফিল্ডারই মাঠে নামতেন। ফিল্ডারদের নিয়ে এতটাই কঠোর ছিলাম আমরা।”
সাগরে পরে যাওয়া কুকুর ছানাকে পিঠে করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসল ডলফিন
শ্রীধরকে বলা হয় ভারতীয় দলে সেরা ফিল্ডার বেছে নিতে। তিনি এক জনের নাম বেছে নেননি। বলেছেন, “উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, মোহিত শর্মা জোরে বোলিংয়ের পাশাপাশি ভাল ফিল্ডিং করত। কোহলী, রবীন্দ্র জাডেজা, মণীশ পাণ্ডেদের নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। ওদের সঙ্গে ফিল্ডিং অনুশীলন করে বেশ মজা পেতাম। যুজবেন্দ্র চহাল, কুলদীপ যাদবরা আবার ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য প্রচুর খাটত।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।