জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে যাচ্ছে ইলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রথম চালানে ৮ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি জন্য বেনাপোল বন্দরে পৌচেছে। তবে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়াই রাত ১১ টা পর্যন্ত ভারতে ঢোকেনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতে ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও মৎস কর্মকর্তারা।
এবার দেশের ৪৯ টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। ১৩ অক্টোবরের আগেই ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ১০ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা মুল্য রফতানি হচ্ছে।
কাস্টমস সুত্রে জানায়, ইলিশের বাংলাদেশি রফতানি কারক সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ এবং আমদানি কারক ভারতের আর জে ইন্টারন্যাশনাল এই বাণিজ্য করছে। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড় করনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েছে বাংলাদেশ লজিষ্টিক।
জানা যায়, কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় সরকার ভারতে ৩ হাজার টন রফতানির অনুমতি দেয়।
এতে বুধবার থেকে রফতানি শুরু হয়। সাধারন ব্যবসায়ী বলছেন ইলিশ রপ্তানিতে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।
বেনাপোল বন্দরের মৎস কর্মকর্তা আসওয়াদুল ইসলাম জানান, মৎস রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসকল কাগজপত্র দরকার তার সবগুলো দেখাতে পারেনি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে মৎস অধিদফতরের অনুমতি পত্র এখনো হাতে পায়নি। বর্তমানে ইলিশের ট্রাক বন্দরে দাড়িয়ে আছে। কাগজ পত্র আসলেই তবে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।
বন্দর সংশিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়েছিল, পরে আবার শুরু হয়। তবে বিশেষ বিবেচনায় কেবল দুর্গা পূজাতে সুযোগ রয়েছে রপ্তানির।গেল বছর রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিন টনের। এবছর অনুমতি হয় ৩ হাজার টনের।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির জানান, কাগজ পত্রের কাজ শেষে পণ্যবাহী ইলিশের ট্রাক যাতে দ্রুত ভারতে ঢুকতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করা হবে। সূত্র : বার্তা২৪.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।