স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের তখন ৭০ মিনিট, স্কোরলাইন গোলশূন্য। ঠিক এর পরের ২০ মিনিটে হয়েছে ছয় গোল। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ দিকে আরো দুই গোল করে হার থেকে রক্ষা পায় বসুন্ধরা কিংস। শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
নিজেদের শেষ ম্যাচে আবাহনীর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বসুন্ধরা কিংস। এ ছাড়া বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর প্রথম ড্র করল কিংস।
প্রথম লেগ শেষে ১১ ম্যাচে ৮ জয়, দুই ড্র ও এক হারে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরুর ৪৫ মিনিটে দুই দলই তেমন আক্রমণ করতে পারেনি। অগোছাল ফুটবল খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। একবার জামাল এগিয়ে যায় তো আবার কিংস ফিরে আসে।
২৩ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল জামাল। খালেদ শাফির ভুল পাসে বল পেয়ে যান সলোমন কিং, নিজেদের অর্ধ থেকে বল বাড়িয়ে দিলে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে কিংসের রক্ষণে ঢুকে পড়েন ওতাবেক। কিংসের কোনো ডিফেন্ডার না থাকায় পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে এসে ওতাবেকের আক্রমণ নষ্ট করে দেন আনিসুর রহমান জিকো।
২৭ মিনিটে বক্সের ডান দিক থেকে সোলেমান সিল্লাহর গতির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৫১ মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ারেন্স জামালকে রক্ষা করেন রায়হান হাসান। রোবিনহোর ফ্রি কিক দূরের পোস্ট থেকে খালেদ শাফির কাট ব্যাক ছয় গজ বক্স থেকে ভ্রানিয়েসের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন রায়হান। ৬২ মিনিটে ইব্রাহিমের ক্রসে ভ্রানিয়েস মাথা লাগালেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। ৬৭ মিনিটে বাঁ দিকের লাইন ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন সোলেমান সিল্লাহ। টাচ লাইন থেকে কাট ব্যাক করেছিলেন এই গাম্বিয়ান; কিন্তু তার বাড়ানো বল নেওয়ার মতো ছিল না কেউ।
অবশেষে ৭১ মিনিটে ডেড লক ভাঙে জামাল। ওতাবেকের গোলে এগিয়ে যায়। তিন ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ওতাবেক। পোস্ট ছেড়ে জিকো সামনে এগিয়ে আসায় আগেভাগেই বাম পায়ের প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ড। গোলের উৎপত্তি হয়েছিল মাঝ মাঠে রিমনের ভুল পাসে। তার পাস পেয়ে যান জামালের বদলি নামা ফয়সাল আহমেদ। সেখান থেকে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে দারুণভাবে থ্রু পাস দিয়েছিলেন সলোমন কিং। তার পাস থেকেই গোল করেন ওতাবেক।
পাঁচ মিনিট বাদেই ভ্রানিয়েসের গোলে সমতায় ফেরে কিংস। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মানবদেয়ালের ওপর দিয়ে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই বসনিয়ান ফুটবলার। বলের দিকে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি মিতুল মারমা। চলতি লিগে ভ্রানিয়েসের এটি দ্বিতীয় গোল। ৮৩ মিনিটে আনিসুর রহমান জিকো বড় ভুল করে বসেন, তার ভুলে ব্যবধান বাড়ায় জামাল। ওতাবেকের কাট ব্যাক থেকে ফয়সাল আহমেদ গোলের উদ্দেশ্যে শট নিলে জিকো ধরতে না পারায় বল চলে যায় সিল্লাহর পায়ে, গোল মুখ থেকে কোনো ভুল করেননি গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
৮৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে জামাল। বক্সের বাইরে থেকে নিচু করে নেওয়া গতির শটে জাল খুঁজে নেন সলোমন কিং। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খাওয়া দেখেছেন আনিসুর রহমান জিকো। ৮৯ মিনিটে ৩-২ করে ফেলে কিংস। সুফিলের ক্রসে হেডে গোল করেন এলিটা কিংসলে। যোগ করা এক মিনিটের মাথায় আবারও গোল করেন এলিটা কিংসলে। ইব্রাহিমের ক্রসে কিংসলের মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।