জুমবাংলা ডেস্ক : যানজটের শহরে যাদু হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। ঢাকা বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের পাশাপাশি মেট্রোরেলে চড়ে অল্প সময়ে যাওয়া যায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতেও। আসবেন কিভাবে? আর কতক্ষণ লাগবে? চলুন ঘুরে আসি।
‘আমার গন্তব্য আগারগাঁও থেকে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আমার মতো আপনারাও এ পাশে মতিঝিল আর ওপাশে উত্তরা থেকে আসতে পারবেন। তবে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের খুব কাছে না থাকলেও স্টেশন আছে পাশেই, মিরপুর-১০। অর্থাৎ খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে আসতে হলে গন্তব্য হবে মিরপুর-১০-এর মেট্রোরেল স্টেশন।
আগারগাঁও স্টেশনে এসে দেখি শত শত মানুষের ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন অনেকে। সবার মতো আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে আধুনিক টিকিট মেশিন থেকে স্মার্ট টিকিট সংগ্রহ করি। তবে মেশিন ছাড়াও টিকিট বুথ থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা যায়।
টিকেট নিয়ে প্লাটফর্মে গিয়ে দেখি আরও কয়েকশ মানুষ। অনেকে মিরপুর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০-১১ এবং উত্তরায় যাবেন। কয়েক মিনিট পরপরই আসে মেট্রোরেল, তাই বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষার ভোগান্তি নেই। তবে মজার বিষয় হলো, যারা মেট্রোরেল নিয়ে সমালোচনা করেছেন তারাও হয়তো প্রতিদিন ভ্রমণ করছেন যাদুকরী এ বাহনে।
প্রসঙ্গ যখন মেট্রোরেলের সঙ্গে ক্রিকেট, সেহেতু মিরপুর-১০ যেতে রওনা হলাম। ঢাকা শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এসি করা কেবিনে যাচ্ছি। কয়েক মিনিটে মেট্রোরেল থামলো কয়েকবার, তবে কোনো ত্রুটি নয়, মিনিটের মধ্যেই কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া স্টেশন পার হচ্ছে। নিজ চোখে দেখা মিলছে শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
আরামদায়ক এ ভ্রমণে খরচ জানতে ইচ্ছে করছে না? জানি অনেকেরই ইচ্ছে করছে। আগারগাঁও থেকে মিরপুর-১০ যেতে খরচ মাত্র ২০ টকা। সময় লেগেছে টিকিট কাটাসহ সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
মিরপুর-১০-এ নেমেই চোখে পড়লো শের-ই বাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। যেই লাইটের আলোয় খেলেন সাকিব-তামিমরা। সাকিবদের খেলা দেখার এ মাঠে যেতে হলে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে হাঁটতে হবে আরও ৫ মিনিট। স্টেডিয়ামে আগে পড়বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস। ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট হাঁটার পরপরই পৌঁছে যাবেন ক্রিকেট মাঠের মূল ফটকে। এমন সময় সাশ্রয়ী, আরামদায়ক মেট্রোরেলের ভ্রমণে মাঠে এসে খেলা দেখা সত্যিই উপভোগ্য বটে!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।