আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযানে ২০৫ বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। যার মধ্যে ৮৭ জন নারীও রয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে বেরানাং এর তাসিক কেসুমা শহরে বাইদুরি এপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগে চালানো এ অভিযানে পুত্রজায়া, কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গড়, নেগারি সিম্বিলান, মালাকা ও পেরাকের পাঁচ শতাধিক অভিবাসন বিভাগের সদস্য অংশ নেয়। অভিবাসন বিভাগ ছাড়াও এ অভিযানে উপস্থিত ছিল রয়্যাল পুলিশ, জেপিএন ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সদস্য।
অভিযানের পর এক বিবৃতিতে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) দাতুক রুসলিন জুসো বলেন, এখানকার এপার্টমেন্টগুলোর ৮০ শতাংশই বিদেশি কর্মীদের দখলে। যা স্থানীয়দের জন্য উদ্বেগ জনক। বিদেশিরা এখানে ৬০০ থেকে ৮০০ রিঙ্গিতের এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে ৮ থেকে ১০ জন থাকছেন। স্থানীয়রা এই এলাকাকে ‘মিনি ঢাকা’ আখ্যা দিয়েছেন। মূলত স্থানীয়দের অভিযোগেই এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অভিবাসন বিভাগ বলছে, ৭৫২ জন বিদেশি কর্মীর কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে ৫৬১ জনকে আটক দেখানো হয়। যার মধ্যে ৮৭ জন নারীও রয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সর্বাধিক ২০৫ জন বাংলাদেশি, বাকিরা মিয়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিওন ও ক্যামেরনের নাগরিক। অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। অভিবাসন বিভাগ ২২০টি এমন এপার্টমেন্ট চিহ্নিত করেছে যেখানে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেশি।
অভিবাসন বিভাগের ডিজি বলেছেন, বিদেশিরা যখন লম্বা সময় এক জায়গায় থাকছেন তখন তারা ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা শুরু করছেন, ওই এলাকাকে নিজেদের এলাকা হিসেবে পরিচিত করছেন যা আমরা সম্পূর্ণ নিরুৎসাহিত করছি।
আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে সিমিনি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চূড়ান্ত যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।
অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, নতুন বছরের ১৮ দিনে মালয়েশিয়া জুড়ে ৮৭০টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আর এতে প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে ৯ হাজার ১৬৯ জন অভিবাসীর কাগজপত্র। অভিবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগে চূড়ান্তভাবে আটক দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ২৬ জনকে। আর ৪২ জন মালিককেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।