আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনা নববর্ষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স। জোটটি জানিয়েছে, ২০২৪ সাল হলো ড্রাগনের আগমন ও জান্তা বাহিনীর বিতাড়নের বছর। চীনা নববর্ষের ঠিক আগে এই বিদ্রোহী জোট এই বার্তা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মির (এএ) সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স। ধারণা করা হয়, এই তিন বাহিনীর সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্ক আছে। মাসখানেক আগেই চীনের মধ্যস্থতায় এই জোটের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর এক ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতিও হয়েছিল।
গত শুক্রবার জোটটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বছর হলো ড্রাগনের বছর। চীনা জনগণ বিশ্বাস করে, তাদের রাশিচক্রে এটি খুবই শুভ একটি চিহ্ন। আমরা আশা করি, চীনা জনগণের মতো এই ড্রাগন বছর মিয়ানমারের জনগণের জন্যও আশার আলো হয়ে ধরা দেবে।’
বিবৃতিতে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর পতন কামনা করে বলা হয়, ‘বিশেষ করে আমরা বিশ্বাস করি, জান্তা বাহিনীর পরিপূর্ণ উৎখাত, যা পুরো মিয়ানমারের জনগণের প্রাণের চাওয়া এ বছর বাস্তবায়িত হবে।’
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে এই তিন বাহিনীর জোট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শানে যৌথভাবে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে জান্তা বাহিনীর হাত থেকে বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেওয়ার লক্ষ্যে। এরই মধ্যে তিনটি বাহিনীই যথেষ্ট সফলতার মুখ দেখেছে। জান্তা বাহিনীকে হটানোর পাশাপাশি চীন-মিয়ানমার সীমান্তে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণেরও ব্রত নিয়েছে এই জোট।
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এরই মধ্যে শান রাজ্যের কোকাং সীমান্ত এলাকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিও (টিএনএলএ) রাজ্যের আরও সাতটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া জোটের আরেক সদস্য আরাকান আর্মিও রাখাইনের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।