জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর এ ক্ষেত্রে সঠিক দেশ বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মান, টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ এবং পড়াশোনার পর কাজের সুযোগের ভিত্তিতে সেরা কিছু দেশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্র: শিক্ষার উৎকর্ষতার জন্য বিখ্যাত, যেখানে হার্ভার্ড, এমআইটির মতো শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বার্ষিক টিউশন ফি ২০,০০০ মার্কিন ডলার থেকে ৬০,০০০ মার্কিন ডলার এবং জীবনযাত্রার খরচ ১০,০০০ মার্কিন ডলার থেকে ১৮,০০০ মার্কিন ডলার। শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজ করতে পারে এবং ওপিটি ভিসার মাধ্যমে পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ পায়।
যুক্তরাজ্য: অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজের মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জনপ্রিয়। টিউশন ফি বছরে ১০,০০০ ইউরো থেকে ৩২,০০০ ইউরো এবং জীবনযাত্রার খরচ ৯,০০০ ইউরো থেকে ১২,০০০ ইউরো। গ্র্যাজুয়েট রুট ভিসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দুই বছর কাজের সুযোগ পায়।
কানাডা: স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা ও টরন্টো, ম্যাকগিল, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পরিচিত। বার্ষিক টিউশন ফি ১৫,০০০ কানাডিয়ান ডলার থেকে ৪০,০০০ কানাডিয়ান ডলার এবং জীবনযাত্রার খরচ ১০,০০০ কানাডিয়ান ডলার থেকে ১৫,০০০ কানাডিয়ান ডলার। পিজিডব্লিউপি ভিসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তিন বছর পর্যন্ত কাজের সুযোগ পায়।
জার্মানি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফ্রি পড়াশোনা করা যায়, কেবলমাত্র ১৫০–৩০০ ইউরো সেমিস্টার ফি লাগে। মাসিক জীবনযাত্রার খরচ ৮৫০ ইউরো। শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজ করতে পারে এবং স্নাতকের পর ১৮ মাস পর্যন্ত থাকার অনুমতি পায়।
অস্ট্রেলিয়া: গবেষণাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং মেলবোর্ন, সিডনির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জনপ্রিয়। বার্ষিক টিউশন ফি ২০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে ৫০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং জীবনযাত্রার খরচ ২১,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। টেম্পোর্যারি গ্র্যাজুয়েট ভিসার মাধ্যমে পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ মেলে।
নিউজিল্যান্ড: সাশ্রয়ী টিউশন ফি ২০,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার থেকে ৩৫,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার এবং বার্ষিক জীবনযাত্রার খরচ ১৫,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার থেকে ২০,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। তিন বছর পর্যন্ত পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ যেমন নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, সুইডেনের মতো দেশে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিক্ষা ২,০০০ ইউরো থেকে ১৫,০০০ ইউরোতে পাওয়া যায়। জীবনযাত্রার খরচও তুলনামূলক কম, বছরে ৮,০০০ ইউরো থেকে ১২,০০০ ইউরো। বেশিরভাগ দেশে পার্ট-টাইম কাজ ও ৬ মাস থেকে ২ বছরের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার সুযোগ রয়েছে।
পড়াশোনার জন্য দেশ বেছে নেওয়ার সময় টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ, কাজের সুযোগ এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের লক্ষ্য ও আর্থিক পরিকল্পনার সঙ্গে মানানসই দেশ বেছে নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথকে সফল ও সমৃদ্ধ করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।