লাইফস্টাইল ডেস্ক : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে বিশ্ব। গত এক দশক ধরেই বিশেষজ্ঞদের মুখে মুখে ছিল এই সতর্কবাণী। এর মাঝেই এলো করোনা মহামারি। তার পরেই বিশ্ব খাদ্যভান্ডারের দুই প্রভাবশালী ভূখণ্ড ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ।
ফলে বিশ্ব এখন এক অভূতপূর্ব খাদ্য সংকটের মুখোমুখি। যার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আরও অবনতি ঘটবে সামনের দিনগুলোতে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভিক্ষের মুখেও পড়তে পারে বিশ্ব। তীব্র খাদ্য সংকটে পালটে যাবে খাদ্যাভ্যাসও। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় ঢুকে পড়বে নানান ধরনের উদ্ভিদ ও বুনোফল।
গোটা বিশ্বে ভোজ্য উদ্ভিদ রয়েছে সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে খাদ্য হিসাবে গ্রহণের জন্য চাষ হয় মাত্র ৪১৭টি উদ্ভিদ। ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিতে পারে এমন কিছু উদ্ভিদের নাম প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
পান্ডানাস : পান্ডানাস বা পান্ডানাস টেকটেরিয়াস একটি ছোট গাছ। এই গাছ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় জন্মে। পান্ডানাস গাছের পাতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় খাবারে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের ফল দেখতে আনারসের মতো। এই ফল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের রিসার্চ ফেলো মেরিবেল সোটো গোমেজ বলেন, গাছটি খরা, প্রবল বাতাস ও লবণাক্ততার মতো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সহ্য করতে পারে।
শিম বা মটরজাতীয় বীজ : শিম বা ডালজাতীয় বীজও রয়েছে ‘ভবিষ্যতের খাদ্য’ তালিকায়। এগুলো তুলনায় সস্তা এবং প্রোটিন ও ভিটামিন-বিতে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া সমুদ্র তীর থেকে শুরু করে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত বড় পরিসরের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। সমগ্র বিশ্বে ২০ হাজার প্রজাতির শিম ও ডালজাতীয় বীজ রয়েছে। কিন্তু মানুষ শুধু সেগুলোর মধ্যে গুটিকয়েক ব্যবহার করে। বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশে এটি প্রধান খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
বুনো দানাদার খাদ্য : দানাদার খাদ্য আসে ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ (সিরিয়াল) থেকে। এর রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতি। নতুন খাদ্য হিসাবে এর সম্ভাবনা অনেক। ফনিও নামে আফ্রিকার এক দানাদার খাদ্যের গাছ রয়েছে, যা পানীয় ও পরিজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
মিছেকলা : মিছেকলা (এনসেট) সাধারণ কলার কাছাকাছি একটি প্রজাতি। এই কলা শুধু ইথিওপিয়ার একটি অংশে খাওয়া হয়। সাধারণ কলার মতো দেখতে এই ফল অভোজ্য। কিন্তু কাণ্ড ও শিকড় গাঁজন করা যায়। তা জাউ (পোরিজ) ও রুটি তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।