আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুটিকে ২০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন এক গ্রামবাসী। দাবি, কুয়োতে নেমে তিনি দেখেন, শিশুটির পাশেই ফণা তুলে বসে আছে একটি সাপ। ধীরে ধীরে সেটি সরে যায়।
মাঠের পাশে শুকনো পাতকুয়ো, গভীরতা প্রায় ২০ ফুট। তার মধ্যেই পড়ে ছিল একরত্তি শিশু। সারা রাত ও ভাবে কাটানোর পর সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়। শিশুর কান্নার শব্দ শুনে তাকে কুয়ো থেকে তোলেন এক গ্রামবাসী। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কে ওই শিশুকে কুয়োয় ফেলে চলে গিয়েছেন, জানা যায়নি। তবে গ্রামে এক অদ্ভুত ‘মিরাকল’-এর জন্ম দিয়েছে একরত্তি।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার। শুক্রবার শিশুটিকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন বছর ৫০-এর প্রেম রাজ। মাঠে কাজ করতে করতে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান তিনি। কুয়োতে নেমে তিনি দেখেন, শিশুটির পাশেই ফণা তুলে বসে আছে একটি সাপ।
তাঁকে কুয়োয় নামতে দেখে ধীরে ধীরে সাপটি সরে যায় বলে দাবি প্রৌঢ়ের। এর পর তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে আসেন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
কুয়োর মধ্যে কেউ বা কারা শিশুটিকে ফেলে গিয়েছিলেন বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বিশ্বাস, শিশুটি এত উঁচু থেকে পড়েও বেঁচে আছে, এ এক আশ্চর্য মিরাকল। সাপটিই যেন কুয়োর মাঝে শিশুটিকে পাহারা দিয়ে রেখেছিল। তাই একরত্তির গায়ে কোনও আঁচ লাগেনি।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শিশুটিকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়। দূরের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ এসে শিশুটিকে দেখার জন্য ভিড় করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস, সাপের আশীর্বাদ ছাড়া শিশুটির পক্ষে জীবিত থাকা অসম্ভব ছিল।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, শিশুটির দেহে কয়েকটি কাটাছেঁড়ার দাগ রয়েছে। উঁচু থেকে নীচে পড়ার কারণে তার কপালের কিছুটা অংশ ফুলে গিয়েছিল। তা ছাড়া আর কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই ওই শিশুর দেহে। কয়েক ঘণ্টা আগেই তার জন্ম হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ, জন্মের পর পরই তাকে ফেলে যাওয়া হয়েছে কুয়োর মধ্যে। আশ্চর্যজনক ভাবে সে বেঁচে গিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।