উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর নাম সবাই শুনেছে। কিন্তু উত্তর মেরু চার ধরনের হয়ে থাকে যা অনেকেই জানে না। এগুলো হচ্ছে ভৌগলিক উত্তর মেরু, চুম্বকীয় উত্তর মেরু, ভূ-চুম্বকীয় উত্তর মেরু ও দুর্গম উত্তর মেরু। উত্তর মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দক্ষিণ মেরুর তুলনায় ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হয়ে থাকে। তার মানে এ অঞ্চল দক্ষিণ মেরুর মতো এতটা ঠান্ডা নয়।
প্রথম দিকে তিমি শিকারি জাহাজে করে উত্তর মেরু অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুরো বরফ ভেঙ্গে সামনে যাওয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সবথেকে মজার ব্যাপার হল নর্জ এয়ারশিপ সর্বপ্রথম উত্তর মেরু অঞ্চল সফলভাবে জয় করতে সক্ষম হয়। এটি উত্তর মেরু অঞ্চল ঘুরে আকাশ পথে আমেরিকার আলাস্কা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কিন্তু ইতালির একটি এয়ারশিপ এ কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে করে এয়ারশিপের যাত্রীদের অর্ধেক মারা যায়। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার এডমুন্ড হিলারি ভৌগলিক উত্তর মেরুতে পদার্পণ করেন। তিনি একই সাথে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন এবং দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে পদার্পণ করেছেন।
মানবসৃষ্ট কারণে ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখানের বরফ গলতে শুরু করেছে। এর ফলে একবিংশ শতাব্দীর মধ্যেই আর্কটিক সাগর পুরোপুরি বরফ মুক্ত হয়ে যাবে বলে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করে বলেছেন।
এর ফলে পরাশক্তি রাষ্ট্রের সদস্যরা সাগরের তলদেশ দেশের খনিজ সম্পদ আহরণে প্রতিযোগিতা শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে ওই অঞ্চলের পরিবেশের উপর তার বিরূপ প্রভাব তৈরি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।