বিনোদন ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে আদনান সামির ছিপছিপে শরীরের একটি ছবি ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবিটি দেখে বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া অনেকের। কিভাবে ২২০ কেজি ওজনের সেই মোটাসোটা, গোলগাল চেহারার আদনান সামি মেদ ঝরিয়ে কিভাবে এতোটা ফিট হলেন? এ কৌতুল যেনো সবারই।
ওবেসিটি বা অতিস্থূলতা এখন গোটা দেশের মাথা ব্যথার কারণ। মেদ ঝরিয়ে সুস্থ এবং চনমনে থাকাটাই দস্তুর। তাই সেই পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওজন কমানোর যুদ্ধে নেমেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। ২০০ কিলোগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল কসরৎ। ১৫৫ কিলো ঝরিয়ে আদনান এখন ছিপছিপে, প্রায় নির্মেদ। কেমন ছিল আদনানের সে জার্নি?
শুরুতে ব্যায়াম করতে পারতেন না এই সংগীতশিল্পী। কারণ তিনি এতোটাই মেদবহুল ছিলেন যে নিচু হতে পারতেন না কোনোভাবেই। ফলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তাকে ঝরাতে হয়েছিল বেশ অনেকটা ওজন। সাদা ভাত, রুটি, চিনি ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আদনানের পুষ্টিবিদ জানান, ‘ইমোশোনাল ইটার’ ছিলেন আদনান। মন খারাপ থাকা কিংবা ভালো থাকার উপর নির্ভর করতো তার খাদ্যাভ্যাস। শর্করা ও চিনিজাতীয় খাবার হুট করেই প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলতেন তিনি। এরপর যদিও অনুতপ্ত হতেন ব্যাপারটা নিয়ে। এই ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুষ্টিবিদকে সঙ্গে নিয়েই চলতেন আদনান।
এক কাপ চিনি ছাড়া চা খেয়ে শুরু হতো আদনানের দিন। দুপুরে ১ টেবিল চামচ ফ্যাট-ফ্রি সালাদ ড্রেসিং দেওয়া সবজির সালাদ ও মাছ থাকতো মেন্যুতে। রাতের খাবারে সেদ্ধ ডাল অথবা মুরগির মাংস খেতেন। কোনও ধরনের ভাত বা রুটি থাকতো না খাদ্য তালিকায়। সন্ধ্যায় খেতেন ঘরে তৈরি পপকর্ন, যেখানে থাকতো না মাখন ও লবণ।
প্রায় চল্লিশ কেজি ওজন কমে যাওয়ার পর ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে ব্যায়াম শুরু করেন আদনান। শুরুতে ট্রেডমিলে দৌড়াতেন কিছুক্ষণ। সঙ্গে হালকা ব্যায়াম। কয়েক মাস পর আটঘাট বেঁধে শুরু হয় শরীরচর্চা। সপ্তাহে ৬ দিন কার্ডিও এক্সারসাইজ করতেন এই শিল্পী। এরপরই দ্রুত কমতে শুরু করে ওজন। সে সময় মাসে প্রায় ১০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। ব্যায়াম শুরু করার পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত আদনান জানান, এখন তিনি আগের চাইতে অনেকটাই সুস্থ বোধ করেন। অনেকক্ষণ দৌড়াতে পারেন, রাতে ঘুমও হয় ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।