জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরকারি চাকরিতে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রথম দফায় যাদের গেজেটভুক্ত করা হয়েছিলো, তাদের মধ্যে ১৬৮ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন গেজেট প্রকাশের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এই ১৬৮ জনের মধ্যে অন্তত ৭১ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, মানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৫ই অক্টোবর যখন প্রথম দফার গেজেট প্রকাশ হয় সে সময়েই ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গেজেট করেছিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তখন যাদের বাদ দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে ৪৫ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। আর বাকি ৫৪ জন সরকারের ইচ্ছাতেই বাদ পড়েছিলো।
আর প্রথম গেজেট থেকে কাটছাঁট করে আরও ১৬৮ জনকে বাদ দিয়ে সোমবার দ্বিতীয় গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ফলে এই বিসিএসে সব মিলিয়ে মোট ২২২ জন উত্তীর্ণ হয়েও বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
যারা বাদ পড়েছেন তাদের অনেকে বিবিসি বাংলার কাছে তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রথম দফায় গেজেট হওয়ার পর তাদের পুরনো চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
বাদ পড়াদের অনেকেই মনে করছেন তারা ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর খামখেয়ালিপনার’ শিকার হয়েছেন।
নিয়মানুযায়ী, বিসিএস পরীক্ষা ও যাচাই বাছাইয়ের সব ধাপ শেষে সরকার উত্তীর্ণদের চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে থাকে।
গেজেট প্রকাশের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে প্রায় প্রতি বছরেই অল্প সংখ্যক হলেও বাদ পড়ার ঘটনা বহু বছর ধরে ঘটে আসছে।
কিন্তু গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর ফৌজদারি অপরাধ না করলে বাদ পড়ার ঘটনা বিরল। কারণ চূড়ান্তভাবে যাদের নাম গেজেটে থাকে তারাই চাকরিতে যোগ দিয়ে থাকেন।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসির একাধিক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বক্তব্য পাওয়া যায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।