জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন ৬ এর ওপর দিয়ে ৫১টি ভবনে টানা ইন্টারনেট ও ডিসের তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য চিঠি দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এসব ক্যাবল মেট্রোরেলের রুটের অ্যালাইনমেন্টের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং সম্পাদক বরাবর এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাবউদ্দিন তালুকদারের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএলের আওতায় পরিচালিত এমআরটি লাইন ৬ এর অ্যালাইনমেন্টের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে বিভিন্ন ভবনে ক্যাবল টিভি লাইন (ডিস লাইন), ইন্টারনেটের ক্যাবল লাইন ইত্যাদির সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫১টি ভবনে বর্তমানে এই ধরনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে ক্যাবল ছিঁড়ে গিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপরে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে এই ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেশি।
চিঠিতে ভায়াডাক্ট ও ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা বিভিন্ন ভবনের ক্যাবল টিভি লাইন (ডিস লাইন), ইন্টারনেট এর ক্যাবল ইত্যাদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় ডিএমটিসিএল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়েছে।
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ. বি. এম.সাইফুল হোসেন এবং সম্পাদক মো. ইমদাদুল হককে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে কাজীপাড়ায় ইলেকট্রিক তারের ওপর ঘুড়ি পড়ে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি ও ফানুস উড়ানো হয়। এর ফলে মেট্রোরেল পরিচালনা ব্যাঘাত ঘটছে। এটি খুবই দুঃখজনক। মেট্রোরেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের সবার উচিত এর প্রতি যত্নবান হওয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।