বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের সবথেকে বিক্রিত ফোন হিসেবে বিবেচনা করা হয় নোকিয়া ১১০০ মডেলের ডিভাইসকে। ওয়ার্ল্ড অফ স্টেটস তারা সর্বশেষ সমীক্ষায় এমনটাই জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নকিয়া ১১০০ এর ২৫০ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট এ স্মার্টফোনটি মার্কেটে রিলিজ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আবার ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে এই হ্যান্ডসেটটি মার্কেটে বিক্রি করে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
nokia 1100 স্মার্টফোনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটির ডিজাইন বেশ ইউনিক ছিল যা অন্যান্য হ্যান্ডসেটের মত নয়। ডিভাইসটির ডিজাইনের জন্য মৌলিক নকশা করা হয়েছিল।
ঐতিহ্যবাহী নেভিগেশনাল কি-প্যাড সিস্টেম এ মোবাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কল গ্রহণ বা রিসিভ করার জন্য আলাদা ডেডিকেটেড বাটন দেওয়া হয়েছিল।
বাই ডিরেকশনাল কি এবং ভাইব্রেটিং অ্যালার্ট এর মত ফিচারও এখানে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ডিভাইসটিতে টর্চ এর ফিচারও দেওয়া হয়েছিল। একটি সি স্টাইলের বাটন দেওয়া হয়েছিল যা লক করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো।
ওই বাটনটি ধরে রাখলে টর্চ চালু হয়ে যেত। নানা রঙের ভেরিয়েন্টে এ হ্যান্ডসেটটি বাজারের বিক্রি করার জন্য উন্মুক্ত ছিল। এদের মধ্যে হালকা নীল, কালো, কমলা, গারো নীল, হলুদ, লাল, সবুজ, ও গোলাপি অন্যতম।
২০০৫ সালে ডিভাইসটিকে ভারতে লঞ্চ করা হয়েছিল। পাঁচ থেকে দশ হাজার রুপির মধ্যে ডিভাইসটি তখন পাওয়া যেত। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নোকিয়া ১১০০ মডেলের ডিভাইস যা বিশ্বব্যাপী ২৪৮ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছিল।
অ্যাপল আইফোনের ৬ এবং ৬ প্লাস ডিভাইস বিশ্বব্যাপী ২২২ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছিল। জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগ পুরো বিশ্ব থেকে তথ্য এবং পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছে। নোকিয়ার কমপক্ষে এগারটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিশ্বের শীর্ষ বিশটি বিক্রি হওয়া মোবাইল মডেলের মধ্যে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।