জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে সাড়ে ২৭ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি বাঘাইর মাছ। মাছটি ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকায় ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটের অদূরে স্থানীয় জেলে নিমাই হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
সকালে মাছটি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আনা হলে মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা মাছটি ১ হাজার ২শ টাকা কেজি দরে মোট ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
জানা গেছে, বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ ধরনের মাছ শিকার নিরুৎসাহিত করা হলেও গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে প্রায়ই জেলেদের জালে বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে এই মাছ বিক্রিও হচ্ছে। তবে এ ধরনের মাছ শিকার বা বিক্রি বন্ধে বা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ অদ্যাবধি দেখা যায়নি।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০২২-এর তফসিল অনুযায়ী, বাগাড়কে বিপন্ন প্রজাতির মাছ হিসেবে ঘোষণা করে এর শিকার ও বেচাকেনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিলে বাগাড় মাছকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
এদিকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় রয়েছে বাগাড় মাছ।
মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, মোবাইলে যোগাযোগ করে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট মাছটি তিনি ১ হাজার ৩শ টাকা কেজি দরে সর্বমোট ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সারা বছর মাছবাজার বা ফেরিঘাটে জেলেদের নিয়ে আসা মাছ নিলামে কিনি। কখনো মৎস্য বিভাগ, পুলিশ বা সরকারি কোনো দপ্তর নিষেধ করেনি। আমরা ব্যবসায়ী, মাছ বাজারে উঠলে কিনে অন্যত্র বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ করে সংসার চালাই।
জেলে নিমাই হালদার বলেন, অনেকদিন পর এত বড় মাছটি পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। মাছটির ভালো দাম পাওয়ায় কিছু দায়দেনা হয়েছি যা পরিশোধ করতে পারব।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, পদ্মা নদীতে মাঝেমধ্যে বড় বড় মাছ ধরা পড়ে। এটা শুধু জেলেদের নয়, এই অঞ্চলের জন্য অনেক সুখবর। তবে বাগাড় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিপত্র না থাকায় তেমন কিছু করতেও পারছি না। তবে জেনেছি এটা বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।