প্রতীক ইজাজ : দেশে সরকারি পর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ এবং মা-শিশু স্বাস্থ্য ও কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে মা ও শিশুদের এসব সামগ্রী সরবরাহ করে। বর্তমানে ৯ ধরনের উপকরণ ও ওষুধ কোনো উপজেলা গুদামে নেই। গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে এসব সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আট ধরনের সামগ্রীর মজুদ শূন্যপ্রায়। এ ছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর মজুদও চাহিদা ও সরবরাহ অনুপাতে কম।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাপ্লাই চেইনের তথ্য অনুযায়ী, জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ খাবার বড়ি সুখী (তৃতীয় প্রজন্ম) নেই ২৮৭ উপজেলা গুদামে ও ১২৭ উপজেলায় মজুদ শূন্যপ্রায়। বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সক্ষম দম্পতি এ পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি মাসে এ উপকরণের চাহিদা ৬ মিলিয়ন সাইকেলের বেশি। বর্তমানে মজুদ আছে ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন সাইকেল। অর্থাৎ এই মজুদ দিয়ে আগামী এক মাসের মতো চলবে।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কনডমের সংকট ছিল। মাসে এর চাহিদা ৮০ লাখ। গত মে মাসে কিছু কেনায় এখন সংকট কিছুটা কেটেছে। তবে এখনো ২২ উপজেলা কনডমশূন্য ও ১৭৩ উপজেলায় মজুদ শূন্যের পথে।
ডিডিএস কিট নেই ৪ উপজেলায় ও ২৪৪ উপজেলায় শেষের দিকে। সে হিসাবে দেশের অর্ধেক উপজেলায় এই উপকরণ শূন্যে এসে ঠেকেছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা মা ও শিশুদের বিনামূল্যে ২২ রকম ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়া হয়। এমন ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী ডিডিএস কিট (ড্রাগ অ্যান্ড ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট কিট) নামে পরিচিত।
শিশু স্বাস্থ্যের এমএনপি (সাসেট) উপকরণ নেই ৩৬৮ উপজেলায়, ২৫ উপজেলায় মজুদ একেবারেই শেষের দিকে ও ১৬ উপজেলায় যে মজুদ তাও চাহিদা অনুপাতে অনেক কম। বাকি ৮৬ উপজেলায় যে পরিমাণ এমএনপি আছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ দুই মাস চলবে। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে খাবারের সঙ্গে এ পাউডার মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।