বিনোদন ডেস্ক : ২০২১ সালের ঘটনা। করোনায় পুরো পৃথিবীই বদলে গেছে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে সব কিছু। বদলে যাওয়া নতুন পৃথিবীতে নতুন ধরণের গল্প খুঁজছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী।
পেয়েও যান। কিন্তু সেভাবে কিভাবে? শুনুন তার মুখেই। বলেন, ‘২০২১ সালে নতুন ধরনের একটি গল্প খুঁজছিলাম। তখন জাহান সুলতানার কাছে ‘‘নীল জলের কাব্য’’র মতো একটা গল্প পাই।
শিহাব ভাইয়ের মাধ্যমে, গল্পটি পড়েই তখন খুব রিফ্রেশিং লাগছিলো। বহুবার শুটিং শুরু করে বন্ধ করতে হয়েছে নানা কারণে, গত আগস্টে কাজটি শেষ হলো। এখন আইস্ক্রিন দর্শকের সামনে নিয়ে আসছে আমাদের খুব আকাঙ্খিত একটি কাজ, আশা করি সবাই দেখবেন ‘
এই আকাঙ্খিত কাজটির শুটিং তিনবার বন্ধ করতে হয়েছে। ছিলো ‘লকডাউন’ ঝামেলা, আবার ছিলো শিল্পীদের অসুস্থতাও।
তবে শেষমেষ গল্পটি এখন দর্শককের দেখার অপেক্ষায়।
এ প্রসঙ্গে ওয়েব ফিল্মটির নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘করোনার কারণে তিনবার নীল জলের কাব্যর শুটিং বন্ধ করতে হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত কাজটা শেষ করে যে দর্শকের সামনে উপস্থিত করতে পারছি, এজন্য মেহজাবীনকে কৃতিত্ব দেব। কারণ এই প্রজেক্ট যেন হয়, তার পেছনে যদি একজন শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে- তাহলে সে মেহজাবীন।’
তবে যখন শুরু হয় তখন এটি ছিল টেলিছবি।
কিন্তু মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। বিষয়টি স্বীকার করে নির্মাতা বলেন, ‘এটা সত্যি আমাদের শুরুটা ছিল টেলিফিল্ম হিসেবে। কিন্তু শুটিং বন্ধ হওযার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এটা ওয়েব ফিল্ম করার। আমরা সেভাবেই কাজ করেছি।’
আজ দুপুরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের উদ্যোগে সংবাদ সন্মেলনও হয়। সেখানেই এসব বিষয়ে কথা বলেন তারা।
এ সময় নিশো বলেন, ‘নীল জলের কাব্য গল্পটি আমার অন্তরের খুব কাছের ছিলো। আমার কাছে মনে হয়, এই কাজটি শেষ করতে প্রত্যেকেই লেগে ছিলো। সময় গেলেও শেষ পর্যন্ত কাজটি দর্শকের সামনে আসছে, এটাই বড় কথা।’
সমুদ্র দেখার বাসনা, শুধু এই বাসনার ওপর সুখ-দুঃখের গল্প বয়ে গেছে। ছোটপর্দায় জনপ্রিয় জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীনের নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’-তে এমন গল্পই উঠে আসছে। কক্সবাজার যাওয়া এবং সমুদ্র দেখার স্বপ্নের এক গল্প নিয়ে এই ওয়েব ফিল্ম। এর মাধ্যমে বহুদিন পর জনপ্রিয় এই জুটি আবার স্ক্রিনে আসছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আইস্ক্রিনে ওয়েব ফিল্মটির স্ট্রিমিং হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।