বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আর্টেমিস মিশনে চাঁদের মাটিতে চলতে পারবে এমন গাড়ি তৈরির জন্য নাসা তিনটি কোম্পানিকে বাছাই করেছে। কোম্পানি তিনটি হল, ইনটুইটিভ মেশিনস, লুনার আউটপোস্ট, ভেঞ্চুরি অ্যাসট্রোল্যাব।
তিনটি কোম্পানিই আগামী ১৩ বছরে সম্ভাব্য ৪৬০ কোটি ডলার মূল্যের ‘টাস্ক অর্ডার’-এর দৌড়ে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অভিযানে সাহায্য করার জন্য কোম্পানিগুলো একটি ‘লুনার টেরেইন ভিয়েকল’ (এলটিভি) তৈরির আইডিয়া নিয়ে কাজ করবে। চাঁদের এ অঞ্চলে পানি বরফ হয়ে জমে আছে এমন ধারণা অনেক আগেই প্রকাশ পেয়েছে, তাই সেখানে নাসার বেইজ ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি না বোঝার কিছু নেই বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
তিন কোম্পানিকে অবশ্যই এমন গাড়ি নকশা করতে হবে যা দুজন নভোচারীকে বহন করবে ও সম্ভাব্য চরম পরিস্থিতিতেও পরিচালনা করা যাবে। এ ছাড়া, নভোচারীরা চাঁদে না থাকলেও নাসা যেন পরীক্ষা চালাতে পারে সে জন্য গাড়িগুলোতে অবশ্যই রোবোটিক বাহু, বা রিমোটের সাহায্যে পরিচালনার ফিচার থাকতে হবে।
এ প্রকল্পে পরবর্তী পদক্ষেপ একটি ‘ফিজিবিলিটি টাস্ক অর্ডার’ নেওয়া। এটি এক বছরের বিশেষ পরীক্ষা, যা নকশা কতটা বাস্তবসম্মত তা যাচাই করে একটি সিস্টেম দাঁড় করাবে।
এরপরে, উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই যাচাই পরীক্ষা করবে নাসা। গাড়ি তৈরি হয়ে গেলে সেগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছে দেবে নাসা। পাশপাশি ‘আর্টেমিস ৫’ মিশনের আগে গাড়িগুলোর কর্মক্ষমতা এবং নিরাপত্তা যাচাই করবে সংস্থাটি।
“আমরা এলটিভি ব্যবহার করব এমন জায়গায় যাওয়ার জন্য যেখানে আমরা পায়ে হেঁটে পৌঁছতে পারব না। অভিযানে এটি আমাদের নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ক্ষমতা বাড়াবে।” – বলেছেন ওয়াশিংটনে নাসা সদর দফতরের এক্সপ্লোরেশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট মিশন বিভাগের প্রধান অনুসন্ধানী বিজ্ঞানী জ্যাকব ব্লিচার।
“আর্টেমিস ক্রু মিশনের পাশাপাশি এর পরের দিনগুলোতে, যখন নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তখনও এই গাড়ি চন্দ্রপৃষ্ঠে আমাদের অভিযান চালিয়ে নেবে।”
সম্প্রতি প্রথম বেসরকারী মহাকাশ কোম্পানি হিসাবে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর জন্য বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিল ইনিউটিভ মেশিনস। পাশাপাশি, ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো মার্কিন মহাকাশযান চাঁদে পাঠিয়েছিল কোম্পানিটি।
আর্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে মানব মিশনে যেতে চায় নাসা। আর তারই প্রস্তুতির অংশ হিসাবে চাঁদের কাছে মানুষের নির্ভরযোগ্য উপস্থিতি তৈরি করতে চায় সংস্থাটি।
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য নাসাকে চ্যালেঞ্জ করার পরেই সংস্থাটি এ উদ্যোগ চালু করে।
তবে, ‘আর্টেমিস ২’ মিশনটিকে পেছানো হয়েছে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে। আর ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের মিশন ‘আর্টেমিস ৩’ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে লিখেছে ভার্জ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।