জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসানকে তিনদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেল থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সিসিটিভি ফুটেজে সর্বশেষ তাকে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বরে দেখা গেছে।
এরপর গত তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। খালিদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষণপাড়ায়।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।
মানবন্ধনে খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, আমার ছেলে বেঁচে আছে কি না, জানি না। আমি জানি না তার বন্ধু আছে, না শত্রু আছে। আপনারা যেভাবে পারেন, আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দিন।
তিনি বলেন, খালিদের ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করার, সেটা সফল হয়েছে। তার কি হয়েছে জানি না। আমার দিন নাই, রাত নাই। আজ এই অফিস, কাল ওই অফিস দৌড়াদৌড়ি করছি, কাজ হচ্ছে না। সে যে অবস্থায় থাকুক, তাকে উদ্ধার করে দিন।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়, তাদের নানাভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদ কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ। আমরা তার সন্ধান চাই।
সহ-সমন্বয়ক সরদার নাদিম শুভ বলেন, খালেদ ৭২ ঘণ্টা থেকে নিখোঁজ। অথচ পুলিশ কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। সরকারে গোয়েন্দা সংস্থা কি করছে প্রশ্ন করে বিষয়টিকে ‘লজ্জা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে নানা তথ্য অনুসন্ধান করেও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এখনো খালিদের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, রোববার আমাদের লোক গোয়েন্দা অফিসে ছিল। তারা সকল ফোন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চেক করেছে। সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। রাত সোয়া একটায় ডিবি এসেছে ক্যাম্পাসে। তারা রাত ৩টা পর্যন্ত তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে যে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায় কিনা, যা দেখে বোঝা যায়, সে কোথায় গিয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, খালিদের বাবার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ও ছোটখাট ব্যবসা করত, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা বা এলাকার বন্ধুবান্ধব বা বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা, সব ডিটেইলস নেওয়া হয়েছে। আমরা নানা দিক থেকে ঘটনাটা দেখেছি। প্রেমঘটিত কোনো জটিলতা আছে কিনা। কাল রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে পারেনি।
মাত্র ১০ টাকার এই জিনিসটি খেলেই কন্ট্রোলে চলে আসবে ডায়াবেটিস
প্রক্টর বলেন, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ওর বাইক রেখে গেছে। ফোন রেখে গেছে। আমরা যেসব ভিডিও দেখেছি, খুব ক্যাজুয়ালি সে বেরিয়ে গেছে। আমরা এখনো কোনো ক্লু পাইনি। আজকে তার বাবা-মা এবং ভাইবোন এসেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলেছি। পুলিশ-সিআইডি কাজ করছে। আমরা দেখি আজ কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা। আমরা অপেক্ষা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।