জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দুই আসামিকে বিকাশ নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বন্ধু ও ব্যাবসায়িক অংশীদার সাইফুল ইসলামের কর্মচারী মোখলেসুর রহমান ইরাদ। দুই আসামি হলেন মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এই তথ্য জানান ইরাদ।
আদালতে ইরাদ বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় মাল্টিয়ান প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাকেজিং নামের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি আমি।
২০১৬ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠানের এমডি সাইফুল ইসলাম আমাকে অ্যাকাউন্ট থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি বাবুল আক্তারকে ফোন করলে তিনি ছয় কেজি মিষ্টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের পাশে বোনের বাসায় দিয়ে আসতে বলেন।’
মিতু হত্যা প্রসঙ্গে ইরাদ বলেন, “মিতু ভাবি মার্ডার হন ২০১৬ সালের ৫ জুন। দুই দিন পর সাইফুল ইসলাম আমাকে নিয়ে বাবুল আক্তারের শ্বশুরবাড়ি বনশ্রীর মেরাদিয়ায় যান।
বিকেলের দিকে সাইফুল ইসলাম আমাকে দ্রুত অফিসে যেতে বলেন। আমি অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্টস থেকে তিন লাখ টাকা নিই। এরপর সাইফুল ইসলাম আমাকে বলেন, ‘তুমি তো বাবুল আক্তারের বোনের বাসা চিনই। টাকাটা সেখানে দিয়ে আস।
’ এরপর টাকা দিয়ে আমি চলে আসি।”
ইরাদ বলেন, ‘পরের দিন বিকেলে বাবুল আক্তারের বোনের বাসা থেকে ওই তিন লাখ টাকা নিতে বলেন সাইফুল ইসলাম। টাকা নেওয়ার সময় বাবুল আক্তারের বাবাও সেখানে ছিলেন। টাকার সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন নম্বর এবং আনোয়ার ও ওয়াসিমের নাম দেওয়া হয়। সাইফুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি টাকাগুলো ওই বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাউসুল আজম মার্কেটের বিকাশের দোকান থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর বাকি টাকা মোহাম্মদপুর এলাকায় র্যাব অফিসের পাশের দোকান থেকে পাঠাই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।