সঞ্চয়পত্র হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে নির্ধারিত সময় পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মূলধনও উত্তোলন করা যায়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের মধ্যে অন্যতম হলো ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র।
চালু ও মুনাফার হার
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ১৯৯৮ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে। বর্তমানে এতে বার্ষিক মুনাফার হার দাঁড়ায় ১১.৮২ শতাংশ পর্যন্ত।
কত টাকায় কেনা যায়?
এই সঞ্চয়পত্র কেনা যায় ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যে।
মেয়াদ
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ নির্ধারিত ৩ বছর।
কোথা থেকে কেনা যাবে?
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও নগদায়ন করা যায়।
মুনাফার হার ও ধাপভিত্তিক কাঠামো
১ জুলাই থেকে সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমালেও ধাপভিত্তিক বিনিয়োগকারী শ্রেণি অনুযায়ী হার ভিন্ন।
প্রথম ধাপ (৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত):
- ১ম বছর: ১০.৬৫%
- ২য় বছর: ১১.২২%
- ৩য় বছর: ১১.৮২%
দ্বিতীয় ধাপ (৭.৫ লাখ টাকার বেশি):
- ১ম বছর: ১০.৬০%
- ২য় বছর: ১১.১৬%
- ৩য় বছর: ১১.৭৭%
নগদায়ন ও কর কাঠামো
মেয়াদপূর্তির আগেও নগদায়ন করা যায়। তবে তখন উল্লিখিত হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ থাকলে মূল টাকা থেকে সমন্বয় করা হবে।
উৎসে কর:
- ৫ লাখ টাকার মধ্যে: ৫%
- ৫ লাখ টাকার বেশি: ১০%
কারা কিনতে পারবেন?
সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এছাড়া অংশ নিতে পারবে:
- আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪-এর স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিল
- বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক খামার
- অটিস্টিকদের সহায়ক প্রতিষ্ঠান
- দুঃস্থ ও অনাথ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় কেন্দ্র
- প্রবীণদের নিবন্ধিত আশ্রয় কেন্দ্র
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা
- ব্যক্তি: একক নামে ৩০ লাখ, যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকা
- প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা (ভবিষ্যৎ তহবিলের ৫০%)
- ফার্ম: সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা
- বিশেষ প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা (অটিস্টিক, অনাথ শিশু, প্রবীণদের আশ্রয় কেন্দ্র)
অন্যান্য সুবিধা
ত্রৈমাসিকভিত্তিক মুনাফা পাওয়া যায় এবং নমিনি নির্ধারণের সুবিধাও রয়েছে। বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর নমিনি নগদায়ন করতে পারেন অথবা মুনাফা উত্তোলন চালিয়ে যেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।