জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য সব প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে জেলা প্রশাসন মাছের আহরণ ও বিপণনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালে স্থানীয় বরফ কল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কাপ্তাই লেকে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাশ, বিএফডিসি’র ফিশ কলেচারিস্ট মো. ইসমাইল হোসেন, নৌ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সৈয়দসহ মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, গত বছর এই সময়ে আমাদের বিএফডিসি ঘাটে মাছ অবতরণ হয়েছিল ৫৩৮৯ মেট্রিক টন। আর এই বছর গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত আমাদের মাছ অবতরণ হয়েছে ৭৫০৮ মেট্রিক টন। আমরা যদি মাছের প্রজননটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে পারি তবে এই উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। গত বছর লেক বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অবৈধ মাছ শিকারের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজারটি অভিযান পরিচালনা করেছিলাম আমরা। এ বছরও সেটি অব্যাহত থাকবে। মাছ শিকার বন্ধ থাকাকালীন সময়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার পরিবহন ও বাজারজাতকরণ না করার জন্য তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী, পরিবহন ও বাজার সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, শুধুমাত্র মৎস্য সম্পদের জন্যই নয়, পর্যটন খাত, বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন কারণে কাপ্তাই হ্রদ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। তাই কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক নিশ্চিতকরণে ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করে যাবে। এ সময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং স্থানীয় বরফ কলগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।