জুমবাংলা ডেস্ক : এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়ে ফেনী মহিলা কলেজের কেউই পাস করেননি। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৩ জন শিক্ষার্থী।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ফেনী মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতদিন ধরে কলেজটি থেকে শতভাগ পাস না করলেও ফলাফল ছিল সন্তোষজনক। তবে করোনাকালীন সময়ে ২০১৯-২০ ও ২১ সালে কলেজটির কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
ফলাফলের বিষয়টি স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনার সময়ে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময়ে কলেজ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় নি। তবে যারা পরীক্ষা দিয়েছে তারা সবাই আগের পরিচালনা পর্ষদের আওতায় থাকা অবস্থায় ইংরেজি বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থী। আইনের বাধ্যবাধকতার কারনে এ কলেজ থেকে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এবারও তারা একটি বিষয়ে সবাই ফেল করেছে।’
তবে, এবছরের শিক্ষাবর্ষে নতুন ব্যবস্থাপনায় ও একদম নতুন আঙ্গিনায় আবারও পুরোদমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কলেজে চলতি বর্ষে ৯৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে জানান তিনি।
এদিকে, বর্তমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদের পরিচালনায় নতুন ক্যাম্পাসে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ২টি শাখায় এ কলেজে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১শত জন। একটি শিক্ষক মিলনায়তন ও ৭টি শ্রেনিকক্ষ দিয়ে চলছে কলেজটির পাঠদান কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, ফেনীতে এবারে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৭ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।