সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের করা মামলায় দুই কিশোরসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাটাখালী বাজারের পাশ থেকে দৌলতপুর থানার পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে একজন হলেন—দৌলতপুর উপজেলার রৌহা কুঠিপাড়া গ্রামের মো. মোতালেব হোসেন (৩২), অন্য দুইজন শিবালয় উপজেলার দুই কিশোর। তাদের দুজনের বয়স ১৬ বছর ।
অভিযোগকারী এস এম আমজাদ হোসেন বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ছেলে তানজিম নাফিজ (১৬) মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আমজাদ হোসেন অভিযোগে জানান, নাফিজ গত বছরের গণআন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। এতে স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার দুপুরে নাফিজ চাচার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল। পথে কাটাখালী বাজারের কাছে পৌঁছালে ১০-১৫ জন যুবক তার পথরোধ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন মোতালেব, ইমন, তামিম ও ওই দুই কিশোর। তারা নাফিজকে গালিগালাজ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করায় শুরু হয় মারধর।
তিনি অভিযোগে আরো জানান, ইমন লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে নাফিজের কান ফেটে যায়। তামিমের রডের আঘাতে বাঁ কাঁধ ভেঙে যায়। অন্যরাও তাকে মারধর করে। নাফিজ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলা থেকে এক ভরি স্বর্ণের চেইন ও পকেট থেকে নগদ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা মোতালেব ও ওই দুই কিশোরকে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করে। আহত নাফিজ দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ আর এম আল মামুন, চেয়ারম্যানের ছেলেকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের সাথে আরো কয়েকজন ছিল। তারা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।