লাইফস্টাইল ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে বেড়েই চলছে প্রযুক্তির ব্যবহার। কাজ বাদেও সারাদিন, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত নিত্যসঙ্গী আমাদের ফোন। ফোন ছাড়াও ট্যাব, ল্যাপটপ, ডেক্সটপে যেন না চাইলেও কেটে যায় বেলা। সময়ের খবর রাখা হয়ে যায় দায়!
প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও ঘরে বসে গান শোনা, সিরিজ দেখা, নাটক বা সিনেমা দেখা অথবা মেসেঞ্জার বা হোয়াট্সঅ্যাপে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে জুড়ি নেই প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্রের।
দৈনন্দিন জীবনে কাজের সুবিধার জন্য বর্তমানে আমরা এতটাই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছি যে, এসব যন্ত্র ছাড়া একদমই চলতে পারি না আমরা। এতে ক্ষতিও যে কম হচ্ছে, এমন নয়। সময় নষ্ট হবার পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও শারীরিক বিরাট ক্ষতি বয়ে আনতে পারে অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যাবহারের প্রভাব।
ছোট ছোট কিছু কাজের মাধ্যমে চাইলেই এ আসক্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। চলুন জেনে নেই এ সমস্যার থেকে মুক্তির কিছু পথ-
সময় বেছে নিন
নিজেকে যদি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মোহ থেকে বের করতে চান, তাহলে এখনই সতর্ক হোন। এক্ষেত্রে একবারে ছাড়তে চাইলে তা আরও তীব্রভাবে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই একটু একটু করে এ আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে চমৎকার এক উপায় হতে পারে সামাজিক মাধ্যম বা ই-মেইল চেক করার মতো প্রয়োজনগুলো দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে করা।
সবসময় অবসর পেলেই স্মার্টফোনে ঢুঁ না মেরে আগে থেকেই ঠিক করে নিন, কখন বা ঠিক কোন কোন সময় ফেসবুকিং করবেন। সেইসঙ্গে অন্য সময় ফ্রি থাকলেও নিজেকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এভাবে কিছুদিন চেষ্টা করতে থাকলে একসময় দেখবেন ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা সামাজিক মাধ্যমের প্রতি আগের মতো তীব্র আকর্ষণ আর নেই। ফলে বেঁচে যাওয়া সময়গুলো সৃজনশীল কাজে লাগাতে পারবেন। এতে আপনার জীবন হয়ে উঠবে আরও সমৃদ্ধ।
প্রযুক্তি নির্ভরতা কমিয়ে আনুন
দৈনন্দিন কাজের বেশিরভাগ কাজের জন্য আমরা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এগুলোর মাধ্যমে কোনো কাজ সারা গেলে আমরা আর বিকল্প কোনো দিক ভাবি না। এই চিন্তাধারা থেকে থেকে বের হয়ে কাজে নতুনত্ব আনুন।
যে কাজ প্রযুক্তি ডিভেইস দিয়ে সহজে করা যায়, তা তো সবাই জানে। কিন্তু নিজে এগুলো ছাড়া কোনো কাজ করে সেটি প্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিন। এতে কাজটি করার সময় অন্তত ডিভাইসগুলো থেকে দূরে থাকবেন। সেইসঙ্গে আপনার মস্তিষ্কও হয়ে উঠবে আরও সৃজনশীল।
আবার দিনশেষে তা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলে ভার্চুয়াল জগত থেকেও পাবেন অভিনন্দন, জনপ্রিয়তা ও সম্মান।
বিরতি নিন
ব্যস্ততায় ডুবে আছেন ফোন বা ল্যাপটপে। গভীর মনোযোগে কিছু একটা করছেন। এবার একটু থামুন।
নিজের শরীরেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন, সেটা ভুলে গেলে চলবে? সবার আগে নিজের শরীরের যত্ন। তাই কাজ থেকে মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন। ৩০ মিনিট কাজ করে অন্তত ৫ মিনিট বিরতি নিন।
প্রয়োজনে ঘড়িতে বা মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। এ সামান্য বিরতি একদিকে যেমন আপনার কর্মোদ্দীপনা বাড়িয়ে দেবে, তেমনি চোখের ক্ষতির শঙ্কাও কমিয়ে দেবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।