জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে ৩০ মণ ইলিশ। নিলামে সেই মাছ ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত জেলেরা। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, ২ নভেম্বর রাতে হাতিয়া থেকে ১৫ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন। বঙ্গোপসাগরে তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। রোববার সকাল নয়টার দিকে তারা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসে। ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে এসব ইলিশ নিলামে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
ট্রলারের মালিক মো. নাসির উদ্দিন মাঝি বলেন, গত দুই তিন বছরে আমরা তেমন মাছ পায়নি। ২২ দিনের অভিযান শেষে এতো মাছ পেলাম। আমার ট্রলারটি অনেক ছোট। এটার কোনো নামও নাই। এই ছোট্ট ট্রলারে আল্লাহ অনেক ইলিশ দিয়েছেন। মাত্র দুই দিনে ৩০ মণ ইলিশ মাছ ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। মাছগুলো ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।
মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ম্যানেজার মো. হাবিব ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হাতিয়ার মাঝি নাসির উদ্দিনের ট্রলারে ৩০ মণ মাছ পেয়েছে। নিলামে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই মাছ। মালিকের বাড়ি হাতিয়ায় তাই তিনি আমাদের চেয়ারম্যান ঘাটে চলে আসেন। ছোট্ট ট্রলারে একসঙ্গে এত মাছ পেয়ে জেলেরা অনেক খুশী হয়েছেন।
এদিকে অবরোধের কারণে মাছের দাম কম হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মৎস্য ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন শাহরাজ বলেন, অভিযানের পরে জেলেরা নদীতে যা মাছ পাচ্ছে তা নিয়ে ফিরে আসছে। তবে অবরোধের কারণে তারা ভালো দাম পাচ্ছেন না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, যে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, সে সময় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই সজাগ ছিলাম। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছি। মৎস্য সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। জেলেরাও আইন মেনেছে। যারা আইন অমান্য করেছে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাও করা হয়েছে। আমি মনে করি যেকোনো অভিযান সফল হলে মাছের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।