জুমবাংলা ডেস্ক : মাস খানেক আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তারা বলছেন, আভা মিনি গ্রিড প্রজেক্টের সৌর বিদ্যুতের প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসা বাড়িতে বন্ধ হয়ে আছে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক সব যন্ত্রপাতি।
সীমান্ত ঘেঁষা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ভুবনপাড়া, কানপাড়া, পানিপার ও নওশেরা গ্রামে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। প্রায় ৯ বছর আগে সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছিল গ্রামগুলো। সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকলের) কারিগরি সহযোগিতায় চর আষাড়িয়াদহে সৌর বিদ্যুতের প্ল্যান্ট স্থাপন করে বেসরকারি সংস্থা আভা। প্ল্যান্টটির নাম দেয়া হয়েছিল আভা মিনি গ্রিড প্রজেক্ট।
প্রথম দুবছর ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হতো। পরবর্তীতে উৎপাদন কমে গেলেও গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেতেন গ্রাহকরা। কিন্তু মাস খানেক আগে লোকসানের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এরপর থেকে বাসা বাড়িতে লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক সব যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে আছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই ইউনিয়নের মানুষ।
এ অবস্থায় গ্রামবাসী চর আষাড়িয়াদহ বাজারে জেনারেটর চালিয়ে ৩০ টাকা করে নিজেদের মুঠোফোনে চার্জ দিচ্ছেন। আর সহসাই বিদ্যুৎ না পাবার শঙ্কায় কেউ কেউ বাসা বাড়িতে সোলার প্যানেল নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে আভা মিনি গ্রিড প্রজেক্টের প্ল্যান্ট ব্যবস্থাপক মিল্লাত হোসেন জানান, লোকসানের কারণে বন্ধ করে দেয়া এই প্লান্টটি আপাতত চালুর কোনো পরিকল্পনা নেই।
এমন পরিস্থিতিতে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান।
চর আষাড়িয়াদহে ৩ হাজার ৩শ’ গ্রাহককে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। প্ল্যান্টে ৫৯৪ টি সৌর বিদ্যুতের প্যানেল আছে। এগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৪৮ দশমিক ৫০ কিলোওয়াট। প্যানেলের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্তমানে ৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।