লাইফস্টাইল ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে মানুষ নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই কর্মের কোন এক পর্যায় অনেক মানুষই কিছু না কিছু মিথ্যা বলে। অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার ধরন দেখে বোঝা সম্ভব হয় না আসলেই এটি সত্য নাকি মিথ্যা! মিথ্যা বলার প্রবণতা এক প্রকারের ব্যাধিও বটে।
কেউ যদি মিথ্যা বলে তাহলে কীভাবে বুঝবেন? অনেকেই মিথ্যা ধরতে চোখের ওপর কড়া নজর রেখে থাকেন। আপনি কি জানেন, এই মিথ্যা নিয়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা চলছে।
সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন স্কটল্যান্ডের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা মিথ্যা শনাক্ত করার একটি পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছেন। কারও চেহারা চেনার বিষয়ে মিথ্যা বললে খুব সহজেই এ পদ্ধতিতে ধরা সম্ভব হবে।
স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখানো ছবির সঙ্গে চোখের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে মিথ্যা ধরতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।
জাপানের পুলিশ বাহিনী বর্তমানে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে অপরাধ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বের করে আসছেন।
স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির গবেষক অ্যালিসা মিলেনের নেতৃত্বাধীন প্রকল্পটির নাম ‘কনফেস’। অ্যালিসা বলেন, অপরাধীর পরিচয় শনাক্ত করার সময় নিজেকে বাঁচাতে অনেকেই মিথ্যা কথা বলে থাকেন।
অপরাধীদের ছবি দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা পুলিশ বাহিনীর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখানে অনেকেই সত্য কথা বলেন। তবে কিছু মানুষ আছেন, যারা অপরাধীকে চিনলেও না চেনার ভান করেন। বাড়তি ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান।
এসব মাথায় রেখেই গবেষকরা মিথ্যা বলার বিষয়টি শনাক্ত করতে কনসিলড ইনফরমেশন টেস্ট (সিআইটি) নামের পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। যাতে চোখের নড়াচড়া শনাক্ত করা যায়। গবেষকরা তাদের প্রকল্প সফল করতে জাপানের ফুকুয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআইটি বিশেষজ্ঞ শিনজি হিরার পরামর্শও নিয়েছেন।
গবেষকরা বলছেন, সরাসরি চোখের নড়াচড়া শনাক্ত করার মাধ্যমে কোনো তথ্য লুকালে তা ধরে ফেলা খুব সহজেই সম্ভব। মিথ্যা চিহ্নিত করার অন্য উপায়গুলোর চেয়ে এটি সহজ এবং বেশ কার্যকর। তাই এ পদ্ধতি প্রয়োগে সহজেই মিথ্যুক শনাক্ত করা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।