জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে হয়ে মাঝে মধ্যেই নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পর্যটকদের। বিশেষ করে ফটোগ্রাফারদের হয়রানির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। সমুদ্রসৈকতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ইউনুস নামের এক ফটোগ্রাফারকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
রবিবার সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। আটককৃত ইউনুসের ফটোগ্রাফ পোশাক নম্বর ৫৯২।
ভুক্তভোগী পর্যটক মো. সিফাত মাহমুদ জানান, গত ৯ জুলাই আমি এবং আমার স্ত্রী সুগন্ধা সৈকতে যাই। ওখানে এক ক্যামেরাম্যান অনেক অনুরোধ করে ছবি তোলার জন্য। এরপর আমরা কয়েকটা ছবি তুলি। কথা ছিলো সব মিলে ৩০/৪০টা ছবি আমরা নেবো। কিন্তু সে ২৫০টা ছবি তোলে এবং বিল করে ৮০০ টাকা। যখন আমি অতিরিক্ত ছবি নিতে অস্বীকৃতি জানাই তখন ওই ফটোগ্রাফার হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। তখন আমি বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলে আসি। পরে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, শনিবার আমাদের সরকারি নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে একজন ভুক্তভোগী ফটোগ্রাফার কর্তৃক হয়রানির একটি অভিযোগ পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিমকে অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারকে জার্সি নম্বর অনুযায়ী খুঁজে বের করতে পাঠাই। সারাদিন তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও রোববার সকালে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমরা অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারকে বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করবো।
রেজাউল করিম বলেন, ‘ফটোগ্রাফারদের লাইসেন্স দেয় মূলত জেলা প্রশাসন। আমাদের কাছে কোনো ডাটাবেইজ থাকে না, যার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। আমরা ডাটাবেইজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব শিগগিরই ডাটাবেইজ করার কাজ শেষ হবে। আমরা ফটোগ্রাফারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আশা করি তখন এরকম অভিযোগ থাকবে না।’
উল্লেখ্য, সৈকতের প্রত্যেকটি পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্ক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।