আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ পাচারের অভিযোগে ভারতের মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। উদ্ধার হলো কয়েক লাখ টাকার ইলিশ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এ খবর দিয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো মাথাভাঙা নদীর সীমান্ত এলাকায় স্পিডবোটে চেপে টহল দিচ্ছিলেন জোয়ানরা।
হঠাৎ একজনকে এগিয়ে আসতে দেখেন তারা। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কথাবার্তায় মেলে একাধিক অসংগতি। এরপর তার সঙ্গে কী আছে তা দেখতে যান বিএসএফ জোয়ানরা। তার পরই উদ্ধার হয় প্রায় ৩০০ কেজি পদ্মার ইলিশ।
বিএসএফের দাবি, প্রতিটি মাছ বাংলাদেশের পদ্মা নদী থেকে ধরা। সেটা পাচার হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ইলিশের আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ লাখ রুপি বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ জানিয়েছে, মাথাভাঙার উৎসমুখে বেশ কয়েকটি জায়গায় চর তৈরি হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এবার নদীতে পানির পরিমাণ অনেকটাই কম। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়ানের চরভদ্র বিওপির জোয়ানরা টহল দেওয়ার সময় এক ব্যক্তির গতিবিধি দেখে সন্দেহ করেন। তার কাছ থেকে ১৬টি প্লাস্টিকের বস্তায় থাকা ইলিশগুলো উদ্ধার করা হয়। একেকটি ইলিশের আনুমানিক ওজন এক কেজি।
সব মিলিয়ে ১৬টি বস্তায় প্রায় ৩০০ কেজি বাংলাদেশি পদ্মার ইলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অবৈধভাবে ইলিশ পাচারের অভিযোগে জলঙ্গি থানা এলাকার নিতাই মণ্ডল নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে দুটি ইলিশ পাচারের ঘটনা রুখে দিল বিএসএফ। চোরাচালান আটকাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত নিতাইয়ের দাবি, বাংলাদেশের দিক থেকে চারজন তাকে বস্তাগুলো নদী পেরিয়ে এই পারে আনতে বলেছিলেন। বিনিময়ে তাকে এক হাজার রুপিও দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। পাচারকারীদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।