আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটক করে রাখা হবে। এই জন্য কিউবায় অবস্থিত এই মার্কিন কারাগারে ৩০ হাজার অভিবাসী ধারণক্ষম একটি অভিবাসী আটককেন্দ্র তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে এই নির্দেশ দেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারসহ কয়েকটি স্থাপনায় হামলার জবাবে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেছিল ওয়াশিংটন। এ যুদ্ধে বন্দি হওয়া ব্যক্তিদের রাখতে ২০০২ সালে কিউবায় গুয়ানতানামো বে কারাগার চালু করা হয়। আল কায়েদা ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র থাকার সন্দেহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেককে বন্দি করা হয়েছিল। গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠানোর আগে অনেককে গোপন বন্দিশালায় রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো।
৯/১১ হামলাপরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের ধরার নামে মুসলিমদের ওপর যে ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়েছে, এ কারাগার তারই প্রতীক।
গুয়ানতানামো বে কারাগারটি গিতমো নামেও পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের এ সামরিক কারাগারে একসময় প্রায় ৮০০ মুসলিম পুরুষকে বন্দি রাখা হয়েছিল। এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি আছেন।
ট্রাম্পের দুই ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরি বারাক ওবামা ও জো বাইডেন গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেখানে শুধু বন্দির সংখ্যা কমিয়ে তাদের সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়েছে। কিন্তু পূর্বসূরিদের পথ বাদ দিয়ে ট্রাম্প এটি খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেছেন, আজ আমি প্রতিরক্ষা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে গুয়ানতানামো বেতে ৩০ হাজার ব্যক্তির অভিবাসী আটককেন্দ্র প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছি।
তিনি বলেন, এই আটককেন্দ্র আমেরিকান জনগণকে হুমকি দেয়া সবচেয়ে খারাপ অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখতে ব্যবহার করা হবে। তাদের মধ্যে কিছু এতটাই খারাপ যে আমরা তাদের ধরে রাখতে অন্য দেশের ওপর আস্থা রাখতে পারি না। কারণ আমরা চাই না তারা ফিরে আসুক। তাই আমরা তাদের গুয়ানতানামোতে পাঠাব। এটি আমাদের ধারণক্ষমতা অবিলম্বে দ্বিগুণ করবে, ঠিক আছে?
বুধবার ট্রাম্পের বর্ডার জার টম হোমান বলেছেন, প্রশাসন ইতিমধ্যে বিদ্যমান আটককেন্দ্র প্রসারিত করবে এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এটি পরিচালনা করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।