জুমবাংলা ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেছেন, আগামী ১০ বছরের (২০৩৪ সাল) মধ্যে বিমানের বহরে নতুন ৩২টি এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে। বিমানকে গতিশীল এবং এগিয়ে নিতে হলে ক্রয় অথবা লিজ নিয়ে বিমানের বহরে যুক্ত করতে হবে নতুন এয়ারক্রাফট।
রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমানের নতুন এমডি বলেন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের কম্মিংসহ বিভিন্ন গন্তব্যে নতুন রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিমান। বিমানের অলাভজনক রুট চিহ্নিত করে যেসব রুটে চাহিদা বেশি সেখানে বেশি ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা করছে বিমান।
নতুন বিমান ক্রয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপাতত এয়ারবাস থেকে বিমান কেনা হবে পাশাপাশি বোয়িংয়ের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। বিমানের দুর্নীতি রোধে কাজ করবো, টিকিটের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে গণমাধ্যমের সহায়তা চাই।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিমান এমডি বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ অনলাইনে বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না। আবার আসন ফাঁকা রেখে বিমান যাত্রী পরিবহন করে। আমি বিমানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এ সমস্যা সমাধান বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সেবা দিতে চাই। টিকিট চাইলে টিকিট নেই কিন্তু বিমানে আসন ফাঁকা। এসব রোধে অনলাইনে টিকিট উন্মুক্ত করব ও ডিজিটালভাবে সমাধানে যাব। পাশাপাশি মনিটরিং করা হবে বিমানের টিকিট বিক্রি নিয়ে কেউ কারসাজি করে কিনা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে বিমানের এমডি বলেন, বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য প্রস্তুত বিমান। বিমান ৫২ বছর ধরে এ কাজ করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বা তাদের সিস্টার্স কনসার্ন, তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে বিমান এটা দাবি করে। এ বিষয়ে সরকারও চেষ্টা করছে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।
নতুন গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট চালুর বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এপিটিং (নতুন গন্তব্য ) নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া নতুন রুট মালে, কুমমিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে আমরা পর্যায়ক্রমে ফ্লাইট পরিচালনার প্রত্যাশা করছি।
বিমানের ফ্লাইট ডিলে নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অন-টাইম পারফরম্যান্স নরমালি ৭৪ পারসেন্ট। গত মাসে সেটি ৬৭ শতাংশ ছিল। কীভাবে ডিলে কমানো যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছি। বিমানকর্মীদের স্বর্ণ চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিমানের এমডি জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বিমানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। এর আগে এখানে যারা দুর্নীতি করেছেন, বিভিন্ন লেয়ারে তাদের শাস্তি হয়েছে। কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে আবার কাউকে পদ অবনতি করা হয়েছে, কারও বেতন কমানো হয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিমানের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মো. মতিউল ইসলাম, পরিচালক গ্রাহকসেবা মো. হায়াদউদ দৌল্লা খান, পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট ও লজিস্টিক) মমিনুল ইসলাম, পরিচালক (কার্গো) মো. মাহমুদুল আলম, পরিচালক (প্রকৌশল ও লজিস্টিক) এয়ার কমডোর মনিরুল ইসলাম, জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম, ম্যানেজার মাসুদ আল ইসলাম খান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।