জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ দিনে ৩১৬ টন কাঁচামরিচ আমদানি হলেও প্রভাব পড়েনি বাজারে। প্রথম দু’দিন দাম কিছুটা কমলেও মরিচের বাজার আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে।
গত ২ ও ৩ জুলাই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়। সে সময় স্থানীয় বাজারে মরিচের দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকায় নেমে আসে। প্রতিদিনই ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে বুধবার থেকে মরিচের ঝাঁজ আবারও বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২ জুলাই ৭০ টন, ৩ জুলাই ৭১ টন, ৪ জুলাই ৭১ টন ৪০০ কেজি, ৫ জুলাই ২২ টন ৭০০ কেজি, ৬ জুলাই ৮১ টন কাঁচামরিচ প্রবেশ করেছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচের আমদানি খরচ ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। অথচ সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। সচেতন মহলের ভাষ্য, প্রশাসন কঠোরভাবে বাজার মনিটর না করায় সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সুলতানপুর বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আড়তদারদের কাছ থেকে কাঁচামরিচ ৩৫০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। খুচরা বিক্রি করছি ৪০০ টাকা।’
খুচরা ব্যবসায়ী আবু বক্কর গাজী বলেন, আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করতেন তিনি। এখন ২ থেকে ৩ কেজির বেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে না। আগে যার ৫০০ গ্রাম মরিচ লাগত এখন তিনি ১০০ গ্রামের বেশি কিনছেন না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আড়তদার গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোমরা থেকে কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কিনে আনতে হচ্ছে। ভোমরা বন্দরে যা আমদানি হচ্ছে, অধিকাংশই ট্রাকভর্তি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল বারী জানান, গত রবি ও সোমবার ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির পর দাম কিছুটা কমে আসে। প্রতিকেজি মরিচ ২০০ টাকায় নেমে আসে, যা আগে দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু গত দুই দিন মরিচের সরবরাহ তেমন নেই। ফলে আবারও দাম আকাশ ছোঁয়া। বৃহস্পতিবার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে মরিচ। আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ এই ব্যবসায়ীর।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, প্রতিদিনই কাঁচামরিচ ভোমরা বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
স্থলবন্দরের সুপার ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিকেজি কাঁচামরিচের আমদানি খরচ ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। অথচ খুচরা বাজারে ৪০০ টাকা কেজি কীভাবে হলো তা আমাদের জানা নেই।’
জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত তদারকি চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।