বিনোদন ডেস্ক : সালটা ছিল ১৯৯০। সে সময়ই নিজের হাতে একটা চিঠি লিখেছিলেন সালমান খান। লম্বা সেই চিঠিতে ছিল তার আন্তরিক অভিব্যক্তি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে ভাইরাল হয়েছে সেই চিঠি। যেখানে সল্লু লিখেছিলেন, ‘যেদিন আমাকে ভালোবাসা বন্ধ করে দেবে…সেদিনই আমার শেষ।’
কিন্তু কার উদ্দেশ্যে এই ভালোবাসার কথা লিখেছিলেন ভাইজান? ভাবছেন তো, তবে কি এটা সালমানের লেখা কোনও প্রেমপত্র? হ্যাঁ, প্রেমপত্র তো বটেই। তবে এখানে সালমানের প্রেমিকা হলেন তার দর্শক। নিজের সিনেমার দর্শকদের উদ্দেশ্যেই এই আবেগঘন কথাগুলো লিখেছিলেন ভাইজান।
১৯৮৯ সালে ২৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল সালমান খানের ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। তার ঠিক পরপরই এই চিঠিটি লেখা হয়েছিল। সালমান-ভাগ্যশ্রী জুটির এই সিনেমা ছিল সুপারহিট। তার সেই ছবি ঘিরে দর্শকদের ভালোবাসা দেখে অভিভূত ছিলেন সালমান। লিখেছিলেন লম্বা এই চিঠি। যাতে আরও অনেক কথাই রয়েছে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সালমান লেখেন, ‘আমি চাই আপনারা আমার সম্পর্কে একটা ছোট্ট বিষয় জানুন। প্রথমত, আমাকে গ্রহণ করার জন্য এবং আমার অনুরাগী হওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আশা করি, আমার ছবির মাধ্যমে আমি আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
সালমান লেখেন, ‘আমি সিনেমা করার বিষয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। আমি আমার বিচার বুদ্ধি থেকে ভালো চিত্রনাট্য বেছে নেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি এখন আমি যাই করি না কেন তার সঙ্গে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র তুলনা করা হবে। তাই আপনারা যখনই আমার কোনো সিনেমার ঘোষণা শুনবেন, নিশ্চিত থাকুন সেটা একটা ভালো সিনেমা হতে চলেছে। আমি সেই সিনেমাতে আমার ১০০ শতাংশ দেব।’
শেষে সালমান লেখেন, ‘আমি আপনাদের ভালোবাসি। আশা করি, আপনারাও আমাকে এভাবেই ভালোবাসতে থাকবেন। কারণ যেদিন আপনারা আমাকে ভালোবাসা বন্ধ করে দেবেন, যেদিন আপনারা আমার সিনেমা আর দেখবেন না, সেদিনই আমার শেষ।’
চিঠিতে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেন সালমান। বলেন, তার জীবন একটা খোলা বইয়ের মতো।
সল্লুর কথায়, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই, আপনারা সবই জানেন। লোকে বলে, আমি পেরেছি। আমি অবশ্য তা মনে করি না। আমি এখনো সেটা তৈরি করতে পারিনি, তবে আমি একটা জিনিস জানি, যে আপনারা আমাকে গ্রহণ করেছেন। সবশেষে লেখেন, আপনাদের প্রিয় সালমান খান।’
এদিকে, সম্প্রতি পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া ফাঁস করেন, স্ক্রিন টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র জন্য প্রথমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সালমান। পরে তাকে ফের ডাকা হয়। সেটা যে সুরজ বরজাতিয়ার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না, দারুণ অভিনয় দিয়ে তা প্রমাণ করে দেন সালমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।