জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসী ছেলের বয়স (৩৪)। আর মেয়ে (১৪), পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। ছেলের ধন-সম্পদ দেখে নাবালিকা মেয়েটিকে একপ্রকার জোর করেই বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেন মা ও স্বজনরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসাইন ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা ধুনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে নাবালিকার মা মুচলেকা দিয়ে বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।
খিলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, ছাত্রীটি অত্যন্ত মেধাবী। তার অমতে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অভিভাবকরা কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেটা সম্ভব হয়নি।
কালিহাতীর ইউএনও শাহাদাৎ হুসেইন বলেন, বাবা বিদেশে থাকেন। মা জোর করে মেয়েটিকে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। বিয়ে করতে না চাইলে মেয়েকে মারধরও করে বাড়ির লোকজন। পরে মেয়েটি বিয়েতে বাধ্য হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার ও শিক্ষকের সহযোগিতায় বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। মেয়ের মা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।