জুমবাংলা ডেস্ক : এজাহারে বলা হয়, সোহেলের দায়িত্ব ছিল তেজগাঁও, বসুন্ধরা এলাকার খুচরা মোবাইল বিক্রির দোকানে মোবাইল সরবরাহ করা। গত ১ এপ্রিল তিনি বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করা ৩৫টি মোবাইল ডিস্ট্রিবিউশন অফিস ফেরত চেয়েছে বলে নিয়ে আসেন। এরপর সেগুলো বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
৩৫টি মোবাইল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টেরিটোরি সেলস ম্যানেজারের নামে মামলা করেছেন কনট্রিভেন্স ডিস্ট্রিবিউশনসের স্বত্বাধিকারী। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গত ৫ এপ্রিল তিনি সোহেল ফকিরের নামে মামলা করেন। সোহেলের বাড়ি ফরিদপুর সদরের সাদীপুর এলাকায়।
মামলার বাদী কে এম আহমেদ দিদাত শুক্রবার বিষয়টি জানান। এরপর তেজগাঁও থানার এসআই (নিরস্ত্র) খোকন বাওয়ালী মামলার কথা নিশ্চিত করেন। এজাহারে বলা হয়, ওয়ান প্লাস স্মার্টফোনের দেশব্যাপী ডিস্ট্রিবিউটর কনট্রিভেন্স ডিস্ট্রিবিউশনস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সোহেল বাংলামটরের প্রধান কার্যালয়ে টেরিটোরি সেলস ম্যানেজার পদে যোগ দেন। তার দায়িত্ব ছিল তেজগাঁও, বসুন্ধরা এলাকার খুচরা মোবাইল বিক্রির দোকানে মোবাইল সরবরাহ করা।
গত ১ এপ্রিল সোহেল বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করা ৩৫টি মোবাইল ডিস্ট্রিবিউশন অফিস ফেরত চেয়েছে বলে নিয়ে আসেন। এরপর সেগুলো বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
কনট্রিভেন্স ডিস্ট্রিবিউশনসের ম্যানেজার আনিসুর রহমান বলেন, ‘২ এপ্রিল বসুন্ধরার দোকানগুলো থেকে ফোন বিক্রির টাকা তুলতে গেলে দোকানদাররা জানান, সোহেল ফোন ফেরত নিয়ে গেছেন। এরপর আমরা সোহেলকে ফোন দিলে নম্বর বন্ধ পাই। সে আর অফিসেও আসেনি।
‘পরদিন খোঁজখবর করে ও ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানতে পারি, সোহেল মোবাইলগুলো কম দামে অন্য দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। দোকানিরা নগদ টাকায় সেগুলো কিনেছেন।’
আনিসুর রহমান জানান, ওই ৩৫টি মোবাইলের পাইকারি দাম ছিল ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। সোহেল এগুলো কম দামে বিক্রি করে পালিয়েছেন। দিদাত বলেন, ‘আমরা বিক্রয়কর্মীর মাধ্যমে বাকিতে ফোন সরবরাহ করি। পরে এনএসএম কর্মী টাকা তুলে আনেন। সোহেল আমাদের বিশ্বস্ত লোক ছিল। সে এমন কাজ করবে ধারণা ছিল না।
‘আমরা সোহেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের বলেছি, আমার ফোন বিক্রির সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিলে মামলার বিষয়টি শিথিল করব। তবে সোহেলকে আর চাকরিতে ফেরত নেয়া হবে না।’
সোহেলের বাবা কালাম ফকির বলেন, ‘১ তারিখ রাতে সোহেল হঠাৎ করেই বাড়ি এসেছিল। বলেছিল, অফিসের কাজে এদিকে আসায় বাড়িতে ঘুরে গেছে। শনিবার সকালে খাওয়াদাওয়া করে অফিস যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যায়।
‘রোববার ওর অফিস থেকে যোগাযোগ করে টাকা আত্মসাতের কথা জানায়। আমিও সোহেলের ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আমার ছেলে অপরাধ করলে তার শাস্তি পাওয়া উচিত। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি অফিসে জানাব বলেছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খোকন জানান, তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে ধরার চেষ্টা করছেন। খুব তাড়াতাড়িই সোহেল ধরা পড়বেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।