আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি কোনও দোকান চালান না। কোনও দোকান খোলার পরিকল্পনাও নেই। অথচ তিনি ৩ হাজার ৬১৫টি মোবাইল ফোন কিনেছেন। পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
সময়টা ১৯৯৯ সাল। সে সময় তিনি তাঁর প্রথম ফোনটি উপহার হিসাবে পান। বড়দিনের উপহার হিসাবে হাতে পান নোকিয়া সংস্থার একটি ধূসর রংয়ের ৩২১০ সিরিজের ফোন। এরপর পৌঁছে যাওয়া যায় ২০০৮ সালে।
এতদিন না থাকলেও ২০০৮ সালে তাঁর একাধিক ফোন কেনার সামর্থ্য তৈরি হল। নোকিয়া সংস্থার বিভিন্ন ফোন ছিল তাঁর সবচেয়ে পছন্দের। ফলে শুরু হল নোকিয়ার ফোন কেনা। নোকিয়া যা যা মডেল বাজারে এনেছিল, তার সবকটি প্রায় কিনে ফেলেন স্পেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।
সময় এরপর এগিয়ে চলে। বছর কাটতে থাকে। আর ওই ব্যক্তির ফোনের ভান্ডার বড় হতেই থাকে। নোকিয়া ছেড়ে এরপর অন্য সংস্থার ফোনও কেনা শুরু করেন তিনি।
তাঁর সংগ্রহে এমন অনেক সংস্থার মডেল রয়েছে যা এখন পাওয়াই যায়না। মোবাইল কেনার নেশা চেপে বসে ওয়েনসেস পালাউ ফার্নান্ডেজের। প্রচুর অর্থ খরচ করেও বার্সিলোনার বাসিন্দা ওয়েনসেস পালাউ ফার্নান্ডেজ ফোন কিনতেই থাকেন।
দ্রুত তাঁর সংগ্রহ বাড়তে থাকে। যাতে অনেক বিরল মোবাইল সেটও রয়েছে। এভাবে বাড়তে বাড়তে তাঁর এখন ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৫টি। এরপরও নতুন মডেল আসবে। তিনি আবার নতুন মডেলের মোবাইল ফোন কিনবেন।
ডাম্বফোন কাঁপাচ্ছে সারা দুনিয়া, স্মার্টফোনের থেকে যেখানে এগিয়ে এই মোবাইল
এটাই তাঁর লক্ষ্য। তবে বিশ্বরেকর্ড গড়ার জন্য তাঁকে আর অপেক্ষা করতে হয়নি। এখনই তাঁর সংগ্রহে যে সংখ্যক ফোন রয়েছে তাতে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মোবাইলের মালিক হিসাবে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।