জুমবাংলা ডেস্ক : বর হেলাল উদ্দীনের এবার ছিল চতুর্থ বিয়ে। তার বয়স প্রায় ৩৫ বছর। তবে এবার বিয়ের সময় তার বয়স দিয়েছেন ৩০ বছর। হেলাল আগে তিনটি বিয়ে করলেও সংসার টেকেনি একজনের সঙ্গেও। এবার তিনি ১২ বছর বয়সী একটি শিশুকে বিয়ে করতে গিয়ে স্থানীয়দের গ্যাড়াকলে পড়ে ঠাই হলো শ্রীঘরে।
শুধু ওই বরেরই নয়, শিশু কন্যাকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বরের সঙ্গে শ্রীঘরে ঠাই হয়েছে শ্বশুর সোহরাব হোসেনেরও। দণ্ডিত হেলাল উদ্দীন গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বাঙ্গালপাড়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
দণ্ডিত শ্বশুর সোহরাব হোসেন একই উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের মানিকপাড়া এলাকার পলান মণ্ডলের ছেলে।
বাল্যবিয়ে করার অপরাধে বর হেলালকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী অফিসার ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৭(১) ধারায় এ দণ্ড দেন।
এছাড়া নিজ মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাবা সোহরাব হোসেনকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের হেলাল উদ্দীন মহাম্মদপুর গ্রামের মানিকপাড়া এলাকার সোহরাব হোসেনের মেয়ে শারমীন খাতুনের (১২) সঙ্গে চতুর্থ বারের মতো বিয়ে করতে যান। বিয়ে শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদের কাছে সোপর্দ করেন। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সোপর্দ করেন। রোববার দুপুরের দিকে নির্বাহী অফিসারের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গর্ভবতী হতে সঙ্গীর সঙ্গে যা করলেন মহিলা, অবশেষে যেতে হল জেলে
বর হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘বাল্যবিয়ে বলেন আর বহু বিয়ে বলেন, আমার কোনো দোষ নেই। আমার বয়স যখন ২৩ বছর তখন বিয়ে করেছিলাম বাদিয়াপাড়া গ্রামের হানিফ হোসেনের মেয়ে শারমীনকে। কিন্তু বিনা কারণে সে আমাকে তালাক দিয়ে চলে যান। তারপর দ্বিতীয় বিয়ে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে বন্যা খাতুনের সঙ্গে হয়েছিল, সে আমার সঙ্গে বাসর রাত পর্যন্তও করেননি। পালিয়ে গিয়ে আমাকে তালাকপত্র পাঠায়। তৃতীয় বিয়ে করেছিলাম মহাম্মদপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে। সেও আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। এবার একই গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলাম। আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।