জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে হামলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- সিকদারপাড়ার সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা, কোটালীপাড়ার কমরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা মোল্লা এবং ইমন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার নাম সুমন বিশ্বাস (২০)।
আহত সুমনের মা নিপা বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে খবর পাই, আমার ছেলের শরীরে গুলি লেগেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
আহত সুমন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি সদরের পাচুরিয়া এলাকার এনএসআই কোয়ার্টারের পেছনে একটি পানি সরবরাহকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুপুরে সংঘর্ষ দেখে কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বের হন। তবে সেখানে অনেক সংঘর্ষ চলছিলো। এজন্য তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় একটি গুলি এসে তার পেটের ডান পাশের পেছনের দিকে লাগে। গুলিটি বেরিয়ে যায় পেটের সামনের দিক দিয়ে। তখন ডান হাতের কনিষ্ঠ আগুলও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এদিকে গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
তার আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
বিকালে গোপালগঞ্জে পূর্বঘোষিত সমাবেশ শেষে মাদারীপুর যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। তবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যও যোগ দেন।
হামলার মুখে এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বের হয়ে খুলনায় যান তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।