আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা থেকে চার পণবন্দীকে ইসরাইলের উদ্ধারের ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা জানিয়েছে, এই উদ্ধার সত্ত্বেও ইসরাইলের ‘কৌশলগত ব্যর্থতায়’ কোনো পরিবর্তন হবে না।
হামাস তার অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে জানায়, চার পণবন্দরি মুক্তি ’গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কৌশলগত ব্যর্থতার কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না।’
হামাস আরো জানায়, ‘প্রতিরোধ আন্দোলন এখনো বিপুলসংখ্যক বন্দীকে ধরে রেখেছে এবং তারা এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে।’
ফিলিস্তিনি গ্রুপটি জানায়, এই ইসরাইলি অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছিল বলে খবর প্রকাশিত হওয়ায় ’আরেকবার’ প্রমাণিত হলো যে অবরুদ্ধ এই উপকূলীয় ছিটমহলে চলমান ‘যুদ্ধাপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের সায় আছে এবং পুরোপুরিভাবে জড়িত।’
এর আগে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দী তাদের চার নাগরিককে উদ্ধারের কথা জানায় ইসরাইল। অবরুদ্ধ গাজায় আক্রমণ ও বোমাবর্ষণ বৃদ্ধির মাঝে এ দাবি করে হামলাকারী ইসরাইল।
শনিবার এ ঘোষণা এলো, যখন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর গাজা ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় ইসরাইলের নজিরবিহীন হামলায় বহু হতাহত হয়েছে।
উদ্ধারকৃতদের পরিচয় প্রকাশ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে নোভা মিউজিক ফ্যাস্টিভাল থেকে এ চারজনকে পণবন্দী করেছিল হামাস।
তবে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত এলাকা থেকে উদ্ধার এ চারজনের শারীরিক অবস্থা ভালো। তারপরও তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তাদেরকে নুসেইরাতের দুটি পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় এখনো তাদের ১২০ জন নাগরিক বন্দী আছে। তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গিয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ সেনাবাহিনীর।
গত ৭ অক্টোবর থেকে অভিযান চালানোর পর থেকে এটাই তাদের বন্দী উদ্ধারের সবচেয়ে বেশি সংখ্যা। এ নিয়ে জীবিত বন্দী উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজনে।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ রক্তাক্ত আহতদের ছবি প্রকাশ করেছে। এ আহতরা দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা মার্টায়ার্স হাসপাতালের করিডোরে পড়ে রয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৬ হাজার ৮০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৮৩ হাজার ৬৮০ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছে আরো কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হচ্ছে তারা আর বেঁচে নেই।
ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৪০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে এবং ২৪০ জনকে হামাস বন্দী করে এনেছে বলে জানা গেছে।
তবে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাস ইতোমধ্যে ইসরাইলি বন্দীদের প্রায় অর্ধেককে মুক্তি দিয়েছে।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় করা স্বল্প সময়ের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।