লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিবাহ বিচ্ছেদ মোটেই সোজা ব্যাপার নয়। হেসে পুরোটা সামলে দেওয়া যাবে এমনটাও ভাবা ভুল। যে মানুষটার সঙ্গে এতদিন ঘর করলেন তার সঙ্গে প্রচুর খারাপ স্মৃতি, কিন্তু ভালোলাগার কিছু মুহূর্তও অবশ্যই থাকে। সেজন্যই তার সঙ্গে থেকে যেতে পারেন সারাটা জীবন।
তবে আধুনিক যুগে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম যতটাই বেশি, বিচ্ছেদও ঠিক ততটাই। আইনত বিয়ের সংখ্যার চেয়েও বেড়ে গিয়েছে আইনত বিচ্ছেদের সংখ্যা। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যেই বিয়ের আগে যতটা প্রেম ছিল বিয়ের পর তার সিংহভাগ থাকছে না।
জেনে নিন এই প্রজন্মে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে মূল কারণগুলো-
ভালোবাসার অভাব
সবচেয়ে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ভালোবাসার অভাবের কারণে। ৪৭ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদ ক্ষেত্রে মূল কারণই হল এটি। বেশিরভাগ সময় যুগলের মধ্যে এই টানটাই থাকছে না। আদালতে গিয়ে তারা বলছেন স্বামীর প্রতি বা স্ত্রীর প্রতি কারোর কোনো রকম ফিলিংস নেই। ফলে বছরের পর বছর এক ছাদের নিচে থাকা সম্ভব নয়।
মনের মিল
দু’জন মানুষ কখনই এক হন না। কেউ পোলাও ভালোবাসেন তো কেউ বিরিয়ানি। কিন্তু নিজের মধ্যে কিছুটা সামঞ্জস্য অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। মূল্যবোধ এতদিন এক ছিল, হঠাৎ আজ আলাদা এরকম হলে খুব মুশকিল। এর ফলে বিয়ে ভেঙে যেতে পারে।
নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি
নিজেরদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ৪৪ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কেউ যখন মুখোমুখি পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে না চান বা নিজের জেদ ধরে বসে থাকেন তখন সেই সমস্যা সমাধান হওয়ার নয়। দুজনেই দুজনের ভুল ধরতে ব্যস্ত। শোধরাতে নয়। তাই সব শেষে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার রাস্তায় হাঁটেন।
সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা নেই
বর্তমান সময়ে কোনো সম্পর্কের প্রতিই মানুষের শ্রদ্ধা নেই। নিজের মাকে পর্যন্ত রাস্তায় রেখে পালিয়ে যাচ্ছে ছেলে-মে। আর বউ হলে তো কোনো কথাই নেই। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে, সহানুভূতি না থাকলে সেই সম্পর্কের কোনো জোরও থাকে না। এমনকী প্রয়োজনে সহানুভূতিরও প্রয়োজন। আর সম্পর্কের প্রতি যদি শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ দরজা দিয়ে প্রবেশ করে অতি দ্রুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।