লাইফস্টাইল ডেস্ক : কোরবানির সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাংস হওয়ায় তা সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। সংরক্ষণের জন্য সবাই ফ্রিজকেই বেশি প্রাধান্য দেন। কিন্তু অনেকের ঘরেই ফ্রিজ থাকে না। আবার অনেকের ফ্রিজে ডিপ তুলনামূলকভাবে ছোট থাকে, আলাদা ডিপফ্রিজ না থাকাতে পড়েন বিপাকে। ছুটতে হয় পাশের বাসায়।
কিন্তু ফ্রিজ না থাকলেও মাংস সংরক্ষণ করতে পারবেন নিমিশেই। আজকাল ঘরে ও বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করার কৌশল ব্যবহার করে আসছে, যা এখন আরো উন্নত হয়েছে। যার মধ্যে আদার গুঁড়া, মিট এনহ্যান্সার, সয়া প্রোটিন পাউডার, ভিনেগার, কিউরিং সল্ট, ভেজিটেবল প্রোটিন, পাপরিকা পাউডার, সেলারি পাউডার এবং আলু দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা যায়।
মাংস সংরক্ষণে আরো কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-
জ্বাল দিয়ে মাংস সংরক্ষণ
যদি জ্বাল দিয়ে মাংস সংরক্ষণ করতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে মাংসে চর্বির পরিমাণ একটু বেশি থাকাই ভালো। কারণ এতে মাংস দীর্ঘদিন ভালো থাকে। প্রথমে মাংস ভালোভাবে ধুয়ে বড় একটা হাঁড়িতে নিন। এবার হলুদ ও লবণ মিশিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস জ্বাল দিন। এ পদ্ধতিতে দিনে কমপক্ষে দু’বার নিয়ম করে মাংস জ্বাল দিতে হবে।
রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ
আপনি চাইলে রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে কিছুটা কষ্ট করতে হবে। এই পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করতে চাইলে কোনো চর্বি রাখা যাবে না। মাংস পরিষ্কার করে ধুয়ে ছোট টুকরা করে একটি লম্বা তারে একটার পর একটা গেঁথে নিতে হবে। কাপড় শুকানোর মতো করে ছাদে বা বারান্দায় গাঁথা মাংস টানিয়ে দিন। এ ছাড়া চুলার ওপরে তার বেঁধেও আগুনের তাপে মাংস শুকানো যায়। এ উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করলে মাংস একদম শুকিয়ে যায়, ফলে দীর্ঘদিন তা ভালো থাকে। ছাদে মাংস শুকাতে হলে পাতলা কাপড় বা নেট দিয়ে মাংস ঢেকে দিন। এতে করে ধুলাবালু পড়ে মাংস নোংরা হবে না। পরপর ৫-৬ দিন মাংস রোদে দিন। মাংস শুকিয়ে একদম শক্ত হলে মুখ বন্ধ করা পাত্রে বা টিনের কৌটায় মাংস ভরে ভালো করে মুখ বন্ধ করে রাখুন। মাঝে মাঝে কৌটায় ধরে মাংস রোদে দিন। তাহলে পোকার আক্রমণ হবে না। রোদে শুকানো মাংস রান্না করার কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মাংস নরম হবে।
স্মোকিং পদ্ধতি
এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি। যেখানে ৩০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংস পোড়ানো হয়। আবার কোল্ড স্মোকিং পদ্ধতিতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা ধরে স্মোকিং আগুনে ৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পোড়াতে হয়। ফলে তাপের ধোঁয়ায় মাংসের মাইক্রোবসগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে অবশ্য এই পদ্ধতির জন্য কিছু তরল স্মোক প্রিপারেশন পাওয়া যায়, যা সাধারণত মাংস ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকেন।
সল্টিং পদ্ধতি
খাওয়ার লবণ, কিউরিং লবণ, মসলা এবং ব্রাউন চিনি, সোডিয়াম নাইট্রেট ও সোডিয়াম ল্যাকটেট দিয়ে মাংস মেখে ২৪ ঘণ্টা রেখে ফ্রিজে ১ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে মাংস সবচেয়ে বেশি ফ্রেশ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।