মাহাবুর রহমান : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় গরুচোর সন্দেহে চার যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ দেয় উত্তেজিত জনতা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার তরগাও ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে চোর সন্দেহে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে দু’টি মটরসাইকেল ও একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে জনতা।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহে নবীপুর এলাকা থেকে ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর পর থেকে স্থানীয়রা পালাক্রমে রাত জেগে এলাকা ভিত্তিক পাহারা দিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অর্থাৎ শুক্রবার রাত তিনটার সময় পাহারা দেওয়ার সময় দু’টি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন লোক রহস্যজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে ঢাকা-কাপাসিয়া-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে তাদের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এমন সময় গ্রামে গরুচোর ঢুকেছে এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় তাদের চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের সাথে থাকা দু’টি মটরসাইকেল ও অটোরিক্শায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় চার যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
গণপিটুনির শিকার যুবকরা হলেন, তরগাঁও ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে রফিকুল ইসলাম জুয়েল (৩০), উত্তর খামের গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (২৮), তরগাঁও দক্ষিণপাড়া এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে হারুনুর রশিদ (৩২) ও কড়িহাতা ইউনিয়নের পেওরাইট গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে ফয়সাল মোল্লা (৪২)।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন জানান, সম্প্রতি ওই এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। গণপিটুনিতে আহতদের দুইজন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে আর বাকী দুইজনকে থানায় আটক রাখা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।