স্পোর্টস ডেস্ক : হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে রয়েছে রানের বন্যা। দুটি দলই ২০০ ছাড়িয়েছে। দুই দলের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হয়েছে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অজিরা।
২১৪ রানের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মতক। দুই ওপেনার জনসন চার্লস ও ব্র্যান্ডন কিং গড়েন ৫২ বলে ৮৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। নবম ওভারের তৃতীয় বলে অ্যাডাম জাম্পাকে কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে যান উইন্ডিজ ওপেনার চার্লস। এজ হওয়া বল ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করেন চার্লস। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৮.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান।
চার্লস না পারলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন কিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি কিং পেয়েছেন ৩৬ বলে। উইন্ডিজ ওপেনার ফিফটি পেয়েছেন ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে মার্কাস স্টয়নিসকে চার মেরে। ঠিক তার পরের বলে পুল করতে যান কিং। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন শন অ্যাবট। ৩৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রান করেন কিং।
কিংয়ের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারও ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ তম ওভারের শেষ বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এবারও ক্যাচ ধরেন অ্যাবট। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৫ রান। এরপর পাচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন শাই হোপ। ১৫ তম ওভারের শেষ বলে হোপকে ফিরিয়েছেন স্টয়নিস। এবারও ক্যাচ ধরেন অ্যাবট। হোপের পর আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত আউট হয়েছেন। রাসেল করেছেন ২ বলে ১ রান। ১৬ তম ওভারের প্রথম বলে রাসেলকে বোল্ড করেন জাম্পা। একই ওভারের চতুর্থ বলে নিকোলাস পুরানকে ফেরান জাম্পা। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বলে ২ ছক্কায় করেন ১৭ রান।
পুরানের পর শারফেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড এই দুই ব্যাটারের উইকেটও দ্রুত হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৩ রান। হাতে ২ উইকেট নিয়ে ১৫ বলে ৫১ রানের সমীকরণ মেলানো বেশ কঠিন হয়ে যায় উইন্ডিজের জন্য। তবু জেসন হোল্ডার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ৯ নম্বরে নেমে ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। নবম উইকেটে আকিল হোসেনের সঙ্গে হোল্ডার গড়েন ১৫ বলে ৩৯ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে উইন্ডিজ করেছে ৮ উইকেটে ২০২ রানে আটকে যায়। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৪১৫ রান, যা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ১১ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৬ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৭০ রান। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারের এটা ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে রীতিমতো ঝড় তোলে অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ বলে ৯৩ রান যোগ করেন দুই অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার ও জশ ইংলিশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের ৭০ রানই অজিদের ইনিংসে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ইংলিশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।