Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ৪৮ কেজি আলু বেচে কৃষক পাচ্ছেন ৩৬ টাকা
অর্থনীতি ডেস্ক
অর্থনীতি-ব্যবসা

৪৮ কেজি আলু বেচে কৃষক পাচ্ছেন ৩৬ টাকা

অর্থনীতি ডেস্কShamim RezaNovember 2, 20256 Mins Read
Advertisement

মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ করে এবার পুরোটাই লোকসানের মুখে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, ৫০ কেজির বস্তা শেডে বাছাই করলে ৪৮ কেজি আলু পাওয়া যায়। সেই আলু ৮ টাকা কেজি ধরে ৩৮৪ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে হিমাগার ভাড়া ৩০০ টাকা। শ্রমিক খরচ কেজিতে আরো এক টাকা। এক বস্তা আলু বিক্রি করলে পাওয়া যাচ্ছে ৩৬ টাকা।

Potato

মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। এতে উৎপাদন হয় ১০ লাখ ৮২ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টনের বেশি আলু। আলু সংরক্ষণের জন্য জেলায় ৬১টি হিমাগার রয়েছে। এ বছর স্থানীয় উৎপাদিত আলুসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরের কয়েকটি এলাকা থেকে আলু সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করেন।

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হিমাগারগুলোতে আলুর মজুত ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন খাওয়ার এবং ৯৭ হাজার ২৫ মেট্রিক টন বীজ আলু রয়েছে। গত বছর এ সময় ছিল বীজ ও খাবার আলু ছিল মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন।

আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আলুর বীজ, সার ও জমিভাড়া অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। এ বছর এক কেজি আলু উৎপাদন করতেই কৃষকের ১৭–১৯ টাকা খরচ হয়েছিল। বাছাই করে হিমাগারে রাখার উপযোগী করতে বস্তা, পরিবহন, শ্রমিকদের মজুরিসহ প্রতি কেজিতে খরচ তিন টাকা। এর সঙ্গে হিমাগার ভাড়া কেজিতে আরও ছয় টাকা। অর্থাৎ হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা পর্যন্ত প্রতি কেজিতে মোট ২৬ থেকে ২৮ টাকা খরচ হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে আলু হিমাগারে পাইকারিতে মাত্র ৮ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে সেই দামেও আলু কিনতে চাচ্ছে না কেউ।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা সাহারা বেগম (৪৫)। তার বাবা-দাদা বংশ পরম্পরায় আলু চাষি ছিলেন। বিয়ের পর স্বামীর সংসারে এসেও দেখেছেন আলুর আবাদ। গত মৌসুমে আলু চাষের আগে তার স্বামী স্ট্রোক করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। এরপর তিনি তার দুই ছেলে ও শ্রমিকদের নিয়ে তিন একর ২০ শতাংশ জমিতে আলুর আবাদ করেন।

সাহারা বেগম বলেন, ‍“আমাদের অন্য কোনো কাজ জানা নেই। তাই স্বামী সংসার নিয়ে টিকে থাকতে ও তিন ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে আলু চাষ করি। প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ধার করে জমি চাষ করেছিলাম। জমি থেকে পৌনে ৭০০ বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) আলু পাই। মৌসুমের শুরুতেই আলুর দাম কম থাকায় তাতে খরচ উঠছিল না। লাভের আশায় সব আলু হিমাগারে রাখি। এখনো কেউ দামই জিঙ্গেস করে না। শুনলাম, হিমাগারে পাইকারি ৭-৮ টাকা কেজি দরে আলু বেচাকেনা হচ্ছে। এ পরিস্থিতে সংসার চলবে কীভাবে আর ধার শোধ করব কীভাবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”

মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “আলু চাষ এ জেলার কৃষকদের আবেগ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গেছে। লোকসান হলেও এ জেলার মানুষ আলু উৎপাদন করেন। এবার সবজিটির দাম কম ছিল। এ অবস্থায় সরকার ২২ টাকা কেজি ধরে আলু কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটি করা গেলে এ যাত্রায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারবেন। যতটুকু জানি, সরকার সে চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “কৃষক ও ব্যবসায়ীদের এ দুরবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিদেশে আলু রপ্তানির উদ্যােগ নিতে হবে। জেলায় আলু ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আমাদের কৃষকদের আলুর আবাদ কমিয়ে সূর্যমুখী বীজের চাষ ও মিষ্টি আলুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

রবিবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে এলাইড কোল্ডস্টোরেজ, বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস, দেওয়ান কোল্ডস্টোরে ও কদমরসূল কোল্ডস্টোরেজ গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, হিমাগারগুলোতে কর্মচাঞ্চলতা তেমন নেই। এসব হিমাগারে শেডে হাতেগোনা কিছু শ্রমিক আলু বাছাই করছেন।

দেওয়ান কোল্ডস্টোরেজে কথা হয় কৃষক বাদশা মিয়ার সঙ্গে। এই হিমাগারে তাদের ৫০০ বস্তা আলু আছে। তিনি বলেন, “৫০ কেজির বস্তা শেডে বাছাই করলে ৪৮ কেজি আলু পাওয়া যায়। সেই আলু ৮ টাকা কেজি ধরে ৩৮৪ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে হিমাগার ভাড়া ৩০০ টাকা। শ্রমিক খরচ কেজিতে আরো এক টাকা। এক বস্তা আলু বিক্রি করলে পাওয়া যাচ্ছে ৩৬ টাকা। তাই হিমাগারের আলু হিমাগারেই ফেলে চলে যাচ্ছি।”

বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস হিমাগারে ফজর আলী নামের এক আলু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “গত চারদিন আগে ১০ টাকা কেজি দরে ৬ হাজার বস্তা আলু কিনেছিলাম। এখন দাম কমে ৮ টাকা কেজি হয়েছে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে বর্তমান হিসেবে ৬ লাখ টাকা শেষ। দাম আরো কমলে অথবা বিক্রি করতে না পারলে আরো বেশি মরতে হবে। ২২ টাকার ঘোষণা দিয়েও আলু কেনেনি সরকার।”

গত আগস্ট মাসে হিমাগারে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি ধরে আলু বিক্রি হচ্ছিল। এতে কৃষকদের প্রায় অর্ধেক টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট হিমাগারে আলুর দাম সর্বনিন্ম ২২ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি হিমাগার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু সরকারি উদ্যোগে কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করা এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে তা বাজারে বিক্রি করার কথা জানানো হয়েছিল সে সময়।

সে ঘোষণার পর মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোতে কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর ব্যানারও ঝুলিয়ে দেয়। সরকারের এমন উদ্যােগে খুশি ছিলেন কৃষকরা। তবে, বাস্তবে কোনো কাজ না হওয়ায় আরো বেশি বিপদে পড়তে হয়েছে বলে জানান কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

আলু ব্যবসায়ী বাবুল পাইক বলেন, “সরকারি ঘোষণার পর হিমাগারে বেশ কিছুদিন আলু বিক্রি বন্ধ ছিল। দাম বাড়ার আশায় আবার অনেকে ১৩-১৪ টাকা দরে আলুও কিনে ছিলেন। প্রায় দুই মাস এ অবস্থায় ছিল। শেষ পর্যন্ত সরকার আলু না কেনায় এখন কৃষক-ব্যবসায়ী সবাই বেকায়দায় পড়েছে। সরকারের এমন ছলচাতুরীতে শত শত কোটি টাকা লোকসানের মুখে কৃষক। হিমাগারে যে পরিমাণ আলু এখনো মজুদ আছে, ৮ টাকা দামে বিক্রি করেও শেষ করতে পারবে না।”

আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যভাগে নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করবে। পুরনো আলু হিমাগারে রাখা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে পুরানো আলুর কোনো ব্যবস্থা না হলে হিমাগার থেকে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে জানান নিপ্পন আইস এন্ড কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক রিজাউল করিম।

তিনি বলেন, “মৌসুমের শুরুতে ১ লাখ ৮১ হাজার বস্তা আলু ছিল। এখনো হিমাগারে ৭৫ হাজার বস্তা আলু আছে। জেলার সব হিমাগারের কোথাও মজুতের অর্ধেক, কোথাও অর্ধেকের কাছাকাছি আলু রয়েছে। কৃষকরাও আর হিমাগারে আসছেন না। তারা আলু বের করছেন না, আমাদের ভাড়াও দিচ্ছেন না। নভেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের আলু আমরা ধরতেও পারব না। কিছুদিন পর এ আলুর চাহিদাও থাকবে না। আলু অবিক্রিত থাকলে বিদ্যুত বিল, শ্রমিক খরচ ও রক্ষানাবেক্ষণ খরচ হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষকেও কোটি কোটি টাকার লোকসান গুণতে হবে।”

স্ত্রী মোটা হলে ১০ গুণ বেশি সুখ

মুন্সীগঞ্জের আলুর তথ্য শুরু থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এ বি এম মিজানুল হক বলেন, “সরকার ২২ টাকা কেজি ধরে হিমাগার থেকে আলু কেনার ঘোষণা দিলেও মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলো থেকে কোনো আলু কেনেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই বর্তমানে আলু নিয়ে বিপদে আছেন জেলার কৃষকরা। দিন যত যাচ্ছে ততই দাম কমছে। আগামী মাসে উত্তরাঞ্চলের জেলায় চাষ করা আগাম জাতের নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করবে। তাতে পুরনো আলুর চাহিদা আর থাকবে না।”

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘বেচে ৩৬ ৪৮ অর্থনীতি-ব্যবসা আলু কৃষক কেজি টাকা পাচ্ছেন
Related Posts
taka

যেখানে বিনিয়োগে টাকাও নিরাপদ থাকে, মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংকের চেয়ে বেশি

December 19, 2025
গভর্নর

ধার করে নয়, রিজার্ভ নিজেদেরকেই বাড়াতে হবে : গভর্নর

December 19, 2025

দেশজুড়ে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের ১৬ হাজারের বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিল বিকাশ

December 18, 2025
Latest News
taka

যেখানে বিনিয়োগে টাকাও নিরাপদ থাকে, মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে ব্যাংকের চেয়ে বেশি

গভর্নর

ধার করে নয়, রিজার্ভ নিজেদেরকেই বাড়াতে হবে : গভর্নর

দেশজুড়ে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের ১৬ হাজারের বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিল বিকাশ

সঞ্চয়পত্র

সঞ্চয়পত্রে বড় চমক, কোন ব্যাংক দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি সুদ জেনে নিন

Brak Bank

ব্রাক ব্যাংকে কত মাসের এফডিআরে সুদের হার কত? রইল বিস্তারিত

ডাকঘর

সর্বোচ্চ মুনাফা দিচ্ছে ডাকঘর, টাকা জমা রাখার সঠিক নিয়ম

পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ ফেরত ডিসেম্বরেই

দেশের রিজার্ভ

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৪৮ বিলিয়ন ডলার

স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে দায়িত্বশীল নীতিমালায় জোর বিশেষজ্ঞদের

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.