জুমবাংলা ডেস্ক : ৪৮ ধরনের সেবা গ্রহণে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কর বিবরণী দাখিল না করলে সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে, বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে। এছাড়াও আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী উপ-কর কমিশনারের আরোপিত জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। সম্প্রতি সরকার আয়কর বিবরণী প্রস্তুতকারী সহায়িকা (টিআরপি) প্রকাশ করেছে, সেখানে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
আয়কর বিবরণী প্রস্তুতকারী সহায়িকার মুখবন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উল্লেখ করেছেন, এটি নতুন ধারণা। দেশের প্রান্তিক করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন পূরণ এবং দাখিল পদ্ধতি বিবেচনায় এ ব্যবস্থার প্রবর্তন। দেশের বিপুল করযোগ্য জনসাধারণকে করনেটের আওতায় আনতে এবং অফিসে না গিয়ে রিটার্ন ও কর প্রদানে এ ব্যবস্থাপনা একটি ওয়ান স্টপ সমাধান হিসেবে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য করহার বৃদ্ধি না করে করনেট সম্প্রসারণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় রাজস্বের জোগান নিশ্চিত করা। করদাতাবান্ধব স্বয়ংক্রিয় রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল পদ্ধতি এবং অনলাইন কর প্রদান ব্যবস্থার পাশাপাশি করদাতার কাজ সরকার-মনোনীত সহায়তাকারীর মাধ্যমে সম্পাদনের সুযোগ নিশ্চিতভাবে করনেট সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জানা গেছে, নতুন আয়কর আইনে গণকর্মচারীদের আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সবপর্যায়ের গণকর্মচারীকে রিটার্ন দাখিল করতে হচ্ছে। গণকর্মচারীদের রিটার্ন দাখিলের সুবিধার জন্য আয়কর বিভাগের বিভিন্ন কর অফিস বেশ কিছু বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন রিটার্ন দাখিল সম্পর্কিত বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া, করাঞ্চলে তাদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু এবং রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে সচেতন করা।
আইন অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। তাই করদাতাদের সুবিধার্থে পুরো নভেম্বর মাসজুড়ে দেশের সব করাঞ্চলে করমেলার আদলে যাবতীয় করসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কোনো করাঞ্চল গণকর্মচারীদের জন্য বাড়তি কিছু সেবা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ অনুযায়ী গণকর্মচারী বলতে প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত অথবা যেকোনো বিধিবদ্ধ সংস্থায় চাকরিরত ব্যক্তিকে বোঝায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, গণকর্মচারী বলতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বোঝানো হয়েছে।
পুরো নভেম্বর মাসজুড়ে দেশের ৩১টি করাঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেল কার্যালয়ে করসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা করা হচ্ছে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে পাবেন রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র। এ ছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা, নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সি করদাতাদের জন্য চার লাখ টাকা; তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।